সবচেয়ে ভাল হয় একটি বায়ুনিরোধী কৌটোর মধ্যে ভাত রেখে ফ্রিজে রেখে দেওয়া। প্রতীকী ছবি।
সকলের খাওয়াদাওয়ার পরেও দিনশেষে বাঙালি বাড়িতে অতিরিক্ত ভাত বেঁচে যাওয়া নতুন বিষয় নয়। অনেকেই ফেলে না দিয়ে বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে নানা রকম খাবারও বানিয়ে নেন। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই বাসি ভাত খেয়েও হতে পারে নানা পেটের গোলমাল। যদি না সঠিক পদ্ধতিতে বাসি ভাত সংরক্ষণ করা যায়।
ভাত বলে নয়, কোনও বাসি খাবার শরীরের জন্য ভাল নয়। চালে এমনিতেই ‘ব্যাকিলাস সেরিয়াস’ নামে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া থাকে। তাই সব সময়ে ভাত গরম করে খাওয়ার কথা বলা হয়। ভাত ঠান্ডা হয়ে গেলেই এই ব্যাক্টেরিয়া মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সেই ভাত খেলে শরীরের বিষক্রিয়ার মতো প্রভাব পড়তে পারে।
অনেক সময়ে বাসি ভাত গরম করে খেলেও এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয় না। স্টার্চযুক্ত ভাতে এই ব্যাক্টেরিয়া যে টক্সিন তৈরি করে, তা তাপবিরোধী নয়। ফলে তাপের সংস্পর্শে এসেও ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হয় না। বাসি ভাত গরম করে খাওয়ার পরিকল্পনা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
অনেকে আবার ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভাত রেখে দেন। তাতে এই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেশি। সবচেয়ে ভাল হয় একটি বায়ুনিরোধী কৌটোর মধ্যে ভাত রেখে ফ্রিজে রেখে দেওয়া। খাওয়ার আগে কিছু ক্ষণ বার করে রাখলে ঠান্ডা ভাব চলে যাবে। তার পরে খাওয়া যেতে পারে। চাইলে বাসি ভাতের সঙ্গে গরম কোনও খাবার খেতে পারেন। কিন্তু বাসি ভাত গরম করে খেলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে শরীরের উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy