পুষ্টিবিদদের মতে, রোজ সকালে ভেজানো কাঠবাদাম খেতে পারলে, তার গুণের শেষ নেই। তবে মুঠো মুঠো নয়, ক’টা কাঠবাদাম খাবেন তা নির্ভর করবে আপনার ওজন, উচ্চতা, কর্মদক্ষতা এবং সারা দিনে কতটা পরিশ্রম করছেন তার উপর। উপকারের আশায় বেশি করে এই বাদাম খেয়ে ফেলা কিন্তু মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। তাতে বরং হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর কাঠবাদাম। মিনারেলস, ভিটামিন, ফাইবার রয়েছে এই বাদামে। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে, হাড় মজবুজ করতে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে, ত্বকের জেল্লা ফেরাতে রোজের ডায়েটে কাঠবাদাম রাখতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। তবে ভেজানো কাঠবাদাম খোসা সমেত খাওয়া বেশি উপকারী না কি খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া ভাল, এই নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে।
কাঠবাদামের খোসায় কি আদৌ কোনও গুণ আছে? পুষ্টিবিদ পম্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাঠবাদামের খোসায় তেমন কোনও গুণ নেই বললেই চলে। খোসা সমেত খেলে শরীরের খুব যে ক্ষতি হবে এমনটা নয়। তবে যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য কাঠবাদামের খোসা খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। হজমজনিত গোলমাল এড়িয়ে চলতে হলে কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়েই খেতে হবে।’’