গ্লুকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। ছবি: শাটারস্টক।
জানান না দিয়েই আসে এই দৃষ্টিঘাতী অসুখ। আট থেকে আশি, যে কোনও বয়সেই মানুষের চোখেই থাবা বসাতে পারে গ্লুকোমা। ঠিক সময়ে ধরা না পড়লে এবং চিকিৎসা শুরু না করলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তিও কেড়ে নিতে পারে তা। তাই চিকিৎসকেরা একে ‘সাইলেন্ট থিফ’ বলে থাকেন। গ্লুকোমা ঠিক কী ও কেন হয়? চিকিৎসকদের মতে, চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। বিশেষ করে অপটিক স্নায়ুতে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণতর হতে থাকে, পরবর্তী কালে যা অন্ধত্ব ডেকে আনে। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লুকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভিতর জল তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না— এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি বলেন, তিনি পাশের দিকে দেখতে পারছেন না, তা হলে বুঝতে হবে, ক্ষতি অনেক দূর ছড়িয়ে গিয়েছে।
কোন কোন রিস্ক ফ্যাক্টর গ্লুকোমার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে?
১) পরিবারে কারও বা নিজের ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লুকোমার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
২) যাঁরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নেন নিয়মিত, তাঁদেরও গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। যাঁরা নেন ইনহেলার, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
৪) কোনও সময়ে চোখে গুরুতর চোট-আঘাত লাগলে, পরবর্তী কালে সেখান থেকেও গ্লুকোমা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
৫) চিকিৎসক এক বার পাওয়ার সেট করে দেওয়ার পরে সাধারণত আর এক-দেড় বছরের মধ্যে তা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে যদি মাস কয়েকের মধ্যে বার বার পাওয়ার বেড়ে যায়, তা কিন্তু গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy