চিনি খাবেন, না খাবেন না? ছবি- সংগৃহীত
ডায়াবিটিস রোগী হোক বা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, চিনি যে শরীরের ক্ষতি করে সে বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। খাবারে অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার করা বন্ধ করেছেন। মিষ্টিজাত খাবার কম খাচ্ছেন, কিন্তু সুযোগ পেলেই মিষ্টি খাওয়া এখনও পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেননি। বাড়িতে চিনি ছাড়া চা, কফি খেলেও বাড়ির বাইরে তো মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়েই যায়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই এই বিষয়ে সহমত যে, রোগের ক্ষেত্রে চিনি অনুঘটকের মতো কাজ করে। কিন্তু তা বলে জীবন থেকে কি চিনি একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়াটা খুব কাজের কথা? পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন ঝরানোর লক্ষ্যে কৃত্রিম চিনির উপর নির্ভরযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলার জন্য কিছু অযৌক্তিক কথা প্রচার হরলেও, আদৌ তার বিজ্ঞানসম্মত কোনও ব্যাখ্যা নেই। তবে নির্দিষ্ট পরিমাপ আছে। সারা দিনে কার কতটুকু চিনি খাওয়া প্রয়োজন তা নির্ভর করে তার জীবনযাপন এবং শারীরিক পরিস্থিতির উপর।
চিনি খেলেও কি নেশা হয়?
অনেকেই মনে করেন, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও এক ধরনের নেশা। তবে গবেষকদের মতে, চিনি একা এর জন্য দায়ী নয়। মিষ্টিজাত খাবারের স্বাদ, গন্ধ, রং বাড়িয়ে তুলতে খাবারে যে সব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা থেকে আসক্তি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, স্বাস্থ্য সচেতন যে সব মানুষ ‘সুগার ফ্রি’ নরম পানীয় খেয়ে থাকেন, তাঁরা আর কিছুতেই সাধারণ নরম পানীয় খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন না।
চিনি খেলে কি ডায়াবিটিস বা ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে?
চিনির সঙ্গে ক্যানসার বা ডায়াবিটিসের প্রত্যক্ষ যোগ না থাকলেও অধিকাংশ চিকিৎসকই মনে করেন প্রক্রিয়াজাত খাবারের সঙ্গে স্থূলত্বের যোগ রয়েছে। এই স্থূলত্ব বা ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে অবশ্যই ডায়াবিটিসের যোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সারা দিনে কতটা চিনি খাওয়া উচিত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দেওয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, এক জন সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রতি দিন যে পরিমাণ ক্যালোরি পৌঁছনোর কথা, চিনি থেকে তার ১০ শতাংশ পেলেই হবে। তার কম হলেও ক্ষতি নেই, তবে তার বেশি যেন না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy