যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, ওজন কমানোর কথা ভাবছেন অথচ সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার বানিয়ে খাওয়ার সময় পান না। তাঁদের অনেকেই ভরসা রাখেন দই আর ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল বা ওট্সে। বানানো সহজ। খেতেও খুব একটা খারাপ নয়। চাইলে দিব্য়ি খেজুর, কিশমিশ, ফল ইত্যাদি মিশিয়ে স্বাদু বানিয়ে নেওয়া যায়।
অনেকেই প্রাতরাশে দই আর ওটসের সঙ্গে টুকরো করা আপেল মিশিয়ে নেন। এখন প্রশ্ন হল, দই দুগ্ধজাত পণ্য আর আপেলে টক রস থাকে। সাধারণ ধারণা বলে, দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে টক রস রয়েছে এমন ফল খেলে তা থেকে অ্যাসিড এবং হজমের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কি দইয়ের সঙ্গে আপেল খাওয়া উচিত? এক পুষ্টিবিদ এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
দিল্লির পুষ্টিবিদ গুঞ্জন তানেজা বলছেন, যাদের হজমশক্তি ভাল, তাঁদের ক্ষেত্রে দইয়ের সঙ্গে আপেল মিশিয়ে খেলে হয়তো কোনও অসুবিধা হবে না। কিন্তু যাঁদের হজম ক্ষমতা দুর্বল তাঁদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
১। আপেল যেহেতু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, তাই একে খানিকটা সাইট্রাস গোত্রেই ফেলা যায়। যা থেকে পেটফাঁপা, দেরিতে হজম হওয়া, বুকজ্বালা ভাব হতে পারে। গুঞ্জন বলছেন, ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বরাবরই ফল এবং দুগ্ধজাত খাবারকে মেশাতে বারণ করা হয়। তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, সবটাই নেওয়ার ক্ষমতার উপর। যদি বোঝেন আপনার হজম ক্ষমতা দই আর ফল এক সঙ্গে হজম করতে পারছে, তবে আপনি খেতে পারেন।
২। গুঞ্জন জানাচ্ছেন, তবে আপেল যদি খেতেই হয় নিরাপদ থাকার জন্য আপেল সামান্য সেদ্ধ করে নিয়ে বা ভাপিয়ে নিয়ে অথবা অল্প ঘিয়ে নেড়ে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে তা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
৩। শুধু আপেল আর দই না খেয়ে তার সঙ্গে অবশ্যই ওটস, ভেজানো তিসির বীজ, ভেজানো চিয়াবীজ মিশিয়ে খান। তাতে ফাইবার জুড়বে খাবারে। হজম হবে যথাযথ ভাবে। তবে এই খাবারটি সকালে বা দুপুরে খাওয়াই ভাল। সন্ধ্যার পর এই ধরনের খাবার খেলে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়বে।