শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই জল খেতে ভুলে যান। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে তৃষ্ণার অনুভূতি কম থাকে। সারাদিনে জল খাওয়ার পরিমাণও অনেক কমে যায়। ফলে শরীরে পর্যাপ্ত জলের ঘাটতি হয়। এই কারণে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। তাই শীতের দিনেও ঠিক কতটা পরিমাণ জল খাওয়া প্রয়োজন, তা জেনে রাখা ভাল।
শীতের সময়ে শরীরে জলের ঘাটতি হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যাঁরা জল খুব কম খান তাঁদের কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও বাড়ে। সেই সঙ্গে মূত্রনালিতে সংক্রমণও হতে পারে। শীতের সময়ে নানা রকম অ্যালার্জিজনিত অসুখ বেড়ে যায়, যার অন্যতম বড় কারণই হল জল কম খাওয়া। ত্বক ও চুলেও এর প্রভাব পড়ে। কম জল খেলে ত্বক আরও বেশি শুকিয়ে যায়, চুলও রুক্ষ হতে শুরু করে।
জল শরীর সতেজ রাখে। জল কম খেলে শরীরের ভিতরে ‘টক্সিন’ জমতে শুরু করে। তার ফলে টানা অম্বলের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। জল কম খেলে শরীরের ভিতরের অ্যাসিড বেশি হয়ে যেতে পারে। তার ফলে টানা অম্বলের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তাই শীতের মরসুমে ডিহাইড্রেশনের বিষয় সতর্ক হোন। জেনে নিন, কোন কোন উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হবেন।
১) শরীরে জলের অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে।
২) প্রস্রাবের রং লক্ষ করুন। হলুদ প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়।
৩) শরীরে জলের ঘাটতি হলে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হয়। জল মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৪) ডিহাইড্রেশন হলে ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়। বার বার জল খেলেও শরীরে জল জমে থাকতে পারে না। সাধারণ জলের পরিবর্তে লেবু-জল বা ইলেক্ট্রল দ্রবণযুক্ত জল পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৫) শরীরে জলের অভাব হলে অনেক সময় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অকারণে মাথাব্যথাও হতে পারে। সারা ক্ষণ আলস্য ও ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।