ভিটামিন সি-র পরিমাণ শরীরে কমে গেলেও এমন ব্রেট স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়। প্রতীকী ছবি।
‘ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন’ বা ডব্লিউএস এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর যৌথ সমীক্ষা বলছে চার জন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক জন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এক বার স্ট্রোক হলে অনেকেরই পক্ষঘাতগ্রস্ত অবস্থা হয়ে যায়। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এখন কমবয়সিদের মধ্যেও ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ছে। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে স্ট্রোক হয়। রোজের জীবনে কোন কারণগুলি এমন বিপদ ডেকে আনতে পারে?
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো বিভিন্ন ক্রনিক সমস্যা মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ আটকে দেয়। এ দিকে রক্তের মধ্যে ভেসে বেড়ানো চর্বি আচমকা ধমনীতে আটকে গিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হতে হতে অকেজো হয়ে যায়। তাকেই বলা হয় স্ট্রোক। সাধারণত, দু’ধরনের স্ট্রোক হয়। ইসকিমিক আর হেমারেজিক। ইসকিমিক স্ট্রোকে রক্ত চলাচল থেমে যায়। আর হেমারেজিক স্ট্রোকে দুর্বল রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। এ ছাড়া আছে ‘ট্র্যান্সিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ বা টিআইএ। কোনও অল্প পরিমাণ রক্ত মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীতে সাময়িক ভাবে আটকে গেলে কিছু ক্ষণের জন্য রোগীর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আপাত দৃষ্টিতে মারাত্মক না হলেও টিআইএ-র পরে বড় অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে।
দৈনন্দিন জীবনের কোন অভ্যাসগুলি বাড়িয়ে দিতে পারে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি?
১) বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা ডেকে আনতে পারে ব্রেন স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি। প্যাকেটজাত চিপস্, বিভিন্ন ধরনের কুকিজে নুনের পরিমাণ বেশি। এই বাড়তি নুন স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্রমশ।
২) ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ থাকতে মদ্যপান থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
৩) ভিটামিন সি-র পরিমাণ শরীরে কমে গেলেও এমন ব্রেট স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে হ্যামোরেজিক স্ট্রোক ডেকে আনে এই ভিটামিনের ঘাটতি।
৪) ব্যথানাশক ওষুধ খেলে ব্রেন স্ট্রোক তো বটেই, সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও থাকে। তাই প্রতি মুহূর্তে পেইনকিলার জাতীয় ওষুধ খাবেন না।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) আচমকা শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। নিজের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকা।
২) চোখের সামনে হঠাৎ এক চোখে বা দুই চোখেই দৃষ্টি হারিয়ে ফেলা।
৩) মুখের এক দিক বেঁকে যাওয়া।
৪) কথা বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যাওয়া।
৫) বাহুতে ব্যথা হওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy