Advertisement
E-Paper

ক্ষতিকারক রাসায়নিকের শিকার শিশুরা! বেড়ে ওঠার পথ মসৃণ নয়, দাবি নতুন গবেষণায়

শৈশব আর সুরক্ষিত নয়। শিশুদের দেহে ১১১টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিষয়টি ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশকে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫৭
Study reveals toddlers may be exposed to toxic chemicals before they even start school

প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।

বর্তমান সময়ে সুস্থ জীবন যাপনের পথে একাধিক বাধা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অল্প বয়স থেকেই নানা রোগ এবং সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমতাবস্থায় একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শিশুদের দেহে পরিবেশ থেকে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের প্রবেশ ঘটছে। সময়ের সঙ্গে তা বেড়েছে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে অগণিত শিশুর ভবিষ্যৎ কঠিন হতে চলেছে।

কী দাবি?

সম্প্রতি ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি’ জার্নালে এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ২ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুদের দেহে ১১১ ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ স্কুলে প্রবেশের আগেই শিশুদের দেহে এই রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, যা চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

পদ্ধতি

এই সিদ্ধান্তে আসার আগে ২০১ জন শিশু এবং তাদের মায়েদের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকেরা। ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গবেষক ইউসি ডেভিস বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের প্রভাব খুব বেশি। এটা আশঙ্কাজনক। কারণ, শৈশবকাল যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি আরও দাবি করেছেন, এই রাসায়নিকগুলির প্রভাবে শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি, শিশু কোনও জটিল রোগেও আক্রান্ত হতে পারে।

রাসায়নিকের প্রকারভেদ

গবেষকেরা জানিয়েছেন ১১১টির মধ্যে অন্তত ৫ জন শিশুর মধ্যে ৯৬টি রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে। ৫০ শতাংশের বেশি শিশুর মধ্যে ৪৮ প্রকারের রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে। অন্য দিকে, ৯০ শতাংশ শিশুর মধ্যে ৩৪ প্রকারের রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে।

কী কী সমস্যা হতে পারে

অল্প বয়সে দেহে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের প্রবেশে শিশুর হরমোন, মস্তিষ্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হতে পারে। জানা গিয়েছে, খাবার, পানীয়, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং স্পর্শের মাধ্যমে শিশুর দেহে রাসায়নিকের প্রবেশ ঘটছে। মূলত আমেরিকার শিশুদের উপরে গবেষণাটি করা হলেও, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বর্তমান সমাজে আরও একাধিক দেশের শিশুদেরও এ রকমই কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে।

Child Health Chemicals New Research Pollution Infant Mortality
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy