চল্লিশের পর খাওয়াদাওয়ায় আনুন বদল। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ৪০ পেরোতেই শরীর ভিতর থেকে কমজোরি হয়ে পড়তে শুরু করে। কম বয়সের মতো চনমনে ভাব অনেকটাই উধাও হয়ে যায়। অল্প পরিশ্রমেই তখন ক্লান্ত লাগে। সেই সঙ্গে নানা ক্রনিক সমস্যা ধীরে ধীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। ওজন বেড়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তাই চল্লিশের পর নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। এই সময় থেকে নিয়ম মেনে চলতে না পারলে বয়সকালে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে। বয়স যা-ই হোক, সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কী খাচ্ছেন, তার উপর অনেকাংশ নির্ভর করে স্বাস্থ্যের হাল কেমন থাকবে। ৪০-এর পর খাওয়াদাওয়ায় পরিবর্তন আনা জরুরি। কতটা বদল আনলে ৪০-এর পরে সুস্থ থাকা সম্ভব?
১) অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে বাইরের খাবারে সোডিয়াম, চিনি, নুনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। একটা বয়সের পরে এগুলি শরীরে প্রবেশ করলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি থাকে।
২) ফাইবার, মিনারেলস, ভিটামিন আছে এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে। ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। এগুলির অভাবে নানা অসুখ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
৩) ৪০ পেরোনোর পর থেকে পেটের নানা গোলমাল লেগেই থাকে। গ্যাস জমে জমে আরও অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভরসা রাখতে নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
৪) ফল, শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে। কারণ এই খাবারগুলিতে ভিটামিন, ফাইবার, মিনারেলস যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এগুলি সার্বিক ভাবে যত্ন নেয় শরীরের। বাড়িয়ে তোলে প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৫) শাকসব্জি, ফলমূল ছাড়াও বাদাম, নানা ধরনের শস্যতেও ভিটামিন, মিনারেলস রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। চল্লিশের পর হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে এগুলি খাওয়া জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বাদাম, শস্য খাওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy