Advertisement
E-Paper

রোজের অফিসে একঘেয়েমি, ডেস্কে বসে ঝিমুনি আসে, কাজে গতি আনতে মানুন ‘৪৫:১৫ রুল’

রোজের কাজে একঘেয়েমি আসেই। তা কাটাতে মেডিটেশন, ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু যতই শারীরিক কসরত করে অফিসে যান না কেন, কিছু সময় পরে ঝিমুনি ভাব আসেই। ক্লান্তি কাটানোর উপায় কী?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৫২
The new technique can enhance productivity and ensures sustained focus, creativity, and a harmonious work-life balance

অফিসে কাজে ঝিমুনি আসবেই না, ম্যাজিক করবে একটি নিয়ম। ছবি: ফ্রিপিক।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনটা পেরিয়ে গেলেই মন খারাপ হয়ে যায়। পর দিন সকালে ঘুম ভাঙতেই একরাশ ক্লান্তি যেন চেপে বসে। মনে হয়, আবার সেই অফিস, কাজ! ডেস্কে বসে কাজ শুরু করার কিছু ক্ষণ পরেই ঝিমুনি আসে। দু’চোখের পাতা যেন এক হতে চায়। কাজের ইচ্ছা ও গতি দু’টিই হারিয়ে যায় বেলা যত গড়াতে থাকে। ঝিমুনি কাটিয়ে যখন ওঠেন, তত ক্ষণে কাজের পাহাড় জমেছে। শেষ করার তাড়াও রয়েছে। কিন্তু ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার উপায় কী তা ভেবেই পান না কিছুতেই। এই সমস্যারই সমাধান করবে ’৪৫: ১৫ রুল’।

রোজের কাজে একঘেয়েমি আসেই। তা কাটাতে মেডিটেশন, ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু যতই শারীরিক কসরত করে অফিসে যান না কেন, কিছু সময় পরে ঝিমুনি ভাব আসেই। এই সমস্যা কাটাতে ৪৫:১৫ নিয়ম মেনে চলতে পারলে ভাল হয়। এতে কাজে গতি আসবে, মন চাঙ্গা হবে, নিত্যনতুন ভাবনাও আসবে মাথায়। কাজ নিয়ে যে একঘেয়েমি এসেছিল, তা কেটে যাবে নিমেষে।

কী এই ‘৪৫: ১৫ রুল’?

খুবই সহজ পদ্ধতি। একটানা ৪৫ মিনিট কাজের পরে ঘড়ির কাঁটা ধরে ১৫ মিনিটের বিরতি নিতে হবে। বিরতি নিয়ে কাজ করলে কাজের গতি বাড়ে, এমন পরামর্শ দেওয়া হয়ই। তবে কাজের চাপ বেশি থাকলে বারে বারে ওঠা বা হেঁটে আসা সম্ভব হয় না। তাই টানা ৪৫ মিনিট কাজ করে নিন। তার পর মিনিট পনেরো বিরতি নিন। এই বিরতির সময়টাকে আবার ছোট ছোট ভগ্নাংশে ভেঙে নিন। মিনিট পাঁচেক হেঁটে এলেন। তার পর গান শুনুন বা অন্য কিছু পড়ুন। কাজ নিয়ে ভাববেন না। ওই সময়টাতে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটিও করবেন না। এর পর যখন কাজে বসবেন, তখন দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটাই কমেছে। মন অনেক বেশি হালকা ও ফুরফুরে লাগবে।

সময় ধরে কাজ করুন। কোনও একটি কাজ শুরু করার সময়ে ঠিক করে নিন, কতক্ষণে সেটি শেষ করবেন। সব সময়ে তা হয়তো মিলবে না। একটু এদিক-ওদিক হবে। তবে সময়ে শেষ করার তাগিদ থাকলে মন সরে যাবে না অন্য দিকে। তার মাঝেই বিরতি নিন। মস্তিষ্ক বিশ্রাম চায়। বিরতির সময়টুকু না দিলে মনঃসংযোগের অভাব ঘটবে যা কাজের গুণমানে প্রভাব ফেলতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতির সঙ্গে শরীরেরও সম্পর্ক রয়েছে। শরীর-মন চাঙ্গা না থাকলে কাজে যেমন মন বসবে না, তেমনই আলস্যও চেপে বসতে পারে। তাই শরীর ও মন দুইই ভাল রাখতে ৪৫:১৫ নিয়ম মেনে দেখতেই পারেন।

Dizziness Workplace Fatigue Fatigue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy