কৃত্রিম আলোর উপর নির্ভরশীলতা উত্তরোত্তর বেড়ে চলায় মানুষের জীবনের গতিই বদলে গিয়েছে। ছবি- সংগৃহীত
দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে চার দেওয়ালের মধ্যে। আর রাত কেটে যায় মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে চোখ রেখে। এই অভ্যাস থেকেই নাকি বেড়ে চলেছে অবসাদ। এমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা।
হালের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সূর্যের আলোর অভাব এবং কৃত্রিম আলোর উপর মানুষের নির্ভরশীলতা উত্তরোত্তর বেড়ে চলায় মানুষের জীবনের গতিই বদলে গিয়েছে। সূর্যের আলো হল সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস। মানুষের জীবনে প্রতিটি কাজ নিয়ন্ত্রণ করে আলো।
গবেষণা বলছে, শীতকালে রোদের তেজ তেমন থাকে না। সূর্যের আলো শুধু শরীরে নয়, মনের স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে, তাই অবসাদ বাড়তে থাকে। ইদানীং মানুষ যে ধরনের জীবনযাপন করেন, তা অনেকটা সেই আদিম গুহামানবের মতোই। এক দল ফরাসি বিজ্ঞানী ঘরের বাইরে না বেরিয়ে বেশ কিছু দিন চার দেওয়ালের মধ্যে কাটিয়ে দেখেছেন, তাঁদের মধ্যে অবসাদজনিত সমস্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁরা জানিয়েছেন, এই অবসাদ থেকে বিপাকহারেও পরিবর্তন আসে। সূর্যের সঙ্গে প্রাণিজগতের অটুট সম্পর্ক। তাদের শারীরবৃত্তীয় প্রতিটি কাজেই সূর্যালোকের প্রয়োজন রয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, কৃত্রিম আলোর প্রভাবে শরীরে যে কত ক্ষতি হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষের কোনও ধারণাই নেই। মানুষের চোখে বিশেষ এক ধরনের কোষ থাকে। যার সাহায্যে ঘড়ি না থাকলেও দিনের বিভিন্ন সময় সম্পর্কে মানুষ সচেতন থাকে। কিন্তু দিনে বা রাতে যখন-তখন এই কৃত্রিম, তীব্র আলো চোখের মণির সংস্পর্শে এলে দেহ উল্টো ইঙ্গিত পায়। ফলে রাতে জেগে থাকা এবং দিনের বেলা বেশি ধূসর মনে হয়।
দীর্ঘ দিন ধরে এই অভ্যাস চলতে থাকলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। ডায়াবিটিস, স্থূলতা, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা বাড়তে থাকে। বিশ্বের অনেক দেশেই রাতে কাজ করার রীতি রয়েছে। তাই এই প্রজন্মের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy