অফিসের কাজের চাপ! ৯ ঘণ্টা কাজ করে বাড়ি ফিরে ক্লান্তি! টানা অতগুলো ঘণ্টা অফিসে বসে কাজ আর শরীরচর্চার অভাবেই বাসা বাঁধছে বিভিন্ন রোগ। বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। সমস্যা দূরে রাখতে শরীরচর্চার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু নিয়মিত শরীরচর্চা করতেও আলস্য আসে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, নিয়ন্ত্রিত ব্যায়ামই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। হৃদ্রোগের ঝুঁকি যদি কমাতে হয়, তা হলে ব্যায়ামের অন্য কোনও বিকল্প নেই।
ব্যায়াম মানে একেবারেই তাড়াহুড়ো করে শরীরকে জোর করে মানিয়ে নয়। বরং কী ভাবে ব্যায়াম করছেন আর কী কী ব্যায়াম করছেন, তার উপরেই নির্ভর করবে আপনি হৃদ্রোগের সঙ্গে কত সক্রিয় ভাবে লড়তে পারবেন। যোগাসনের এমন কিছু পদ্ধতি আছে, যা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। মূল করোনারি ধমনীগুলির পাশাপাশি বেশ কিছু ধমনী থাকে, যেগুলি সচরাচর তেমন কাজ করে না৷ নিয়মিত ব্যায়াম করলে আস্তে আস্তে এরা সজীব হয়৷ রক্ত সঞ্চালন শুরু হয় এদের মধ্যে দিয়ে৷ যত তা বাড়ে, তত তরতাজা হয় হার্ট৷ ধকল সহ্য করার ক্ষমতাও বাড়ে৷
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবে কোন কোন আসন?
তাড়াসন (মাউন্টেন পোজ়)
তাড়াসন (মাউন্টেন পোজ়)।
সংস্কৃতে ‘তাড়’ শব্দের অর্থ হল পর্বত। অর্থাৎ, এই আসনে দেহের ভঙ্গি হবে অনেকটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সুবিশাল পর্বতের মতো। তাই এই আসনকে বলে ‘মাউন্টেন পোজ়’। পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। হাত দু’টি দু’পাশ থেকে তুলে, কনুই ভাঁজ করে নিয়ে যান মাথার পিছন দিকে। এ বার দু’হাতের আঙুল একত্রিত করে হাতের তালু রাখতে হবে মাথার পিছন দিকে। শ্বাস নিতে নিতে হাত দু’টি মাথার উপর দিয়ে প্রসারিত করুন। গোড়ালি মাটি থেকে উপর দিকে তুলে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে।
উৎকটাসন (চেয়ার পোজ়)
উৎকটাসন (চেয়ার পোজ়)।
দুই পায়ের মধ্যে সামান্য ব্যবধান রেখে প্রথমে ম্যাটের উপর টান টান হয়ে দাঁড়াতে হবে। এর পর হাঁটু ভাঁজ করে কোমর থেকে পিঠ সামনের দিকে সামান্য প্রসারিত করুন। দুই হাত দুই কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর তুলতে হবে। মনে মনে কল্পনা করুন, যেন চেয়ারে বসছেন। সেই অদৃশ্য চেয়ারে বসতে গেলে শরীরের ভঙ্গি যেমনটা হওয়া উচিত, তেমনটাই হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক।
অধোমুখ শবাসন (ডাউনওয়ার্ড ফেসিং ডগ পোজ়)
অধোমুখ শবাসন (ডাউনওয়ার্ড ফেসিং ডগ পোজ়)।
অধোমুখ শবাসনকে বলা হয় ‘ডাউনওয়ার্ড-ফেসিং ডগ পোজ়’। এই আসন অভ্যাসে হার্ট ভাল থাকে। উদ্বেগ-দুশ্চিন্তাও কমে। প্রথমে হাত ও হাঁটুতে ভর করে হামাগুড়ি দেওয়ার মতো করে বসতে হবে। হাতের তালু মাটিতে থাকবে, পিঠ উপরের দিকে তুলতে হবে, পায়ের পাতা মাটি স্পর্শ করে থাকবে। মাথা যতটা সম্ভব মাটির দিকে ঝুঁকিয়ে গভীর ভাবে শ্বাস টানতে ও ছাড়তে হবে। ২০ সেকেন্ড করে আসনটি তিন বার অভ্যাস করতে হবে।