অম্বল, গলা-বুক জ্বালার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ঝোলে-ঝালে-অম্বলে খেয়ে বাঙালির চোঁয়া ঢেকুর আর বুক জ্বালার সমস্যা চিরদিনই রয়েছে। অম্বল হলেই মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড বা সকালে খালি পেটে পিপিআই অর্থাৎ ওমিপ্রাজোল গোত্রের ওষুধ খেয়ে ফেলাটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে অনেকেরই। সকালে উঠে একটি খেয়ে নিলেই ব্যস! যত অনিয়মই হোক না কেন, তার পর সারা দিন আর কষ্ট নেই৷ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অম্বল কমাতে মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক হবে। তার চেয়ে ঘরোয়া উপকরণেই গ্যাস-অম্বলের সমস্যার সমাধান হতে পারে। সে জন্য সকালে উঠে জলে গুলে একটি পাউডার খেলেই হবে।
‘আমেরিকান জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি’-তে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের অন্যতম কারণ হল অন্ত্রে জন্মনো কিছু ব্যাক্টেরিয়া, যারা শরীরে প্রদাহ তৈরি করে। অন্ত্রে ভাল ও খারাপ দু’রকম ব্যাক্টেরিয়াই জন্মায়। ভালদের কাজ হল বিপাকে সাহায্য করা, পুষ্টিরস শোষণ করে টক্সিন দূর করা। আর খারাপেরা ঠিক উল্টোটাই করে। এই খারাপ ব্যাক্টেরিয়ারা জন্মায় মূলত অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার কারণেই। ভাজাভুজি, তেলমশলা দেওয়া খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খেলে শরীরে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ জমে। তার থেকেই এই সব জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত হয়। এদের ঠেকাতে হলে এমন কিছু খেতে হবে, যা শরীরে জমা অতিরিক্ত টক্সিন দূর করবে।
আরও পড়ুন:
কী খেলে অম্বল হবেই না?
পাঁচ রকম উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে হবে একটি বিশেষ ধরনের পাউডার। রোজ সকালে জলে মিশিয়ে খেলে ৭ দিনে অন্তত ৩ কিলোগ্রাম ওজন কমবে।
এক কাপ করে গোটা জিরে, মেথি, মৌরি, জোয়ান ও সর্ষে নিতে হবে। সমস্ত উপকরণ শুকনো খোলায় কম আঁচে নাড়াচাড়া করুন। সুন্দর গন্ধ বার হলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এ বার ঠান্ডা করে সেগুলি পিষে নিয়ে পাউডার বানিয়ে নিন।
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে এক চামচ করে এই পাউডার মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে অম্বলের সমস্যা তো কমবেই, ওজনও কমতে থাকবে ধীরে ধীরে।