দাঁতের সুরক্ষা বজায় রাখে তার বাইরের এনামেলের স্তর। কোনও কারণে এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে দাঁত শিরশির করে। বিশেষ করে ঠান্ডা কোনও পানীয় বা গরম খাবার খেলে, তখন দাঁত আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ফলে শিরশির ভাব আরও বাড়তে থাকে। কিন্তু শুধু এনামেল নয়, চিকিৎসকেদের একাংশ জানিয়েছেন, পেটের সমস্যা থেকেও দাঁত শিরশির করতে পারে।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেদের একাংশ জানিয়েছেন, যাঁদের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে দাঁত কখনও কখনও বেশি শিরশির করতে পারে। নেপথ্যে কারণের ব্যখ্যাও রয়েছে। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে অম্বল মনে হতে পারে পেট থেকে উপরের দিকে উঠে আসছে। তার ফলে গলা এবং বুক জ্বালা শুরু হয়। কিন্তু কখনও কখনও পেট থেকে অ্যাসিড উপরের দিকে ইসোফেগাস অর্থাৎ, মুখের দিকে উঠে আসতে পারে। তার ফলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়। ফলে দাঁতে শিরশির ভাব আরও বেড়ে যায়।
এ ছাড়াও, ঘন ঘন অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ফলে মুখের মধ্যে লালা তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বার বার মুখের ভিতরের অংশ শুকিয়ে যায়। মুখের লালা অ্যাসিডের শক্তি খর্ব করতে সাহায্য করে, কিন্তু লালা তৈরি বন্ধ হয়ে গেলে, অ্যাসিড দাঁতের এলনামেলের আরও বেশি ক্ষতি করতে থাকে। ফলে দাঁত আরও বেশি শিরশির করতে থাকে।
অ্যাসিড ঠেকাতে
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা ঠেকাতে কয়েকটি পরামর্শ মানলে উপকার পাওয়া যেতে পারে—
১) মশলাদার খাবার, কফি, মদ্যপান এবং টক ফল থেকে অ্যাসিড হতে পারে।
২) খাবার অল্প পরিমাণে এবং বার বার খেতে হবে। খাওয়ার পর অনন্ত দু’ঘণ্টা বিরতি নিয়ে তার পর বিছানায় শোয়া উচিত। রাতে শোয়ার সময়ে মাথার নীচে উঁচু বালিশ রাখলে অ্যাসিড ইসোফেগাসের দিকে এগোতে পারবে না।
এনামেলের সুরক্ষা
১) দাঁতের এনামেল সুরক্ষিত রাখতে ফ্লুয়োরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত।
২) দিনে অন্তত দু’বার দাঁত মাজা উচিত। হাতে সময় থাকলে স্ন্যাকের পর মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়া যেতে পারে।
৩) শর্করা বিহীন চিউইং গাম মুখে রাখলে তা লালা তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাকে নিয়নন্ত্রণ করা যেতে পারে।