সুগন্ধির কড়া গন্ধে মাথা ধরে যায় অনেকের। —ফাইল চিত্র
শীতকাল প্রায় এসে গিয়েছে। ঠান্ডায় স্নান না করে অনেকেই এখন এক দেদার সুগন্ধি মাখছেন শরীরে। কারও কারও কাছে সুগন্ধির সুবাস সুখানুভূতির কারণ। কিন্তু অনেকের কাছেই সেই সুগন্ধি হতে পারে বিড়ম্বনার কারণ। ডিয়োডোর্যান্টের কড়া গন্ধে মাথা ধরে যায় অনেকের। কেন এমন হয়? কী বলছে বিজ্ঞান?
সাইনাসের সমস্যা
যে যে রাসায়নিক পদার্থ ঘ্রাণের অনুভূতি তৈরি করে, সেগুলিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘অরড্যান্ট’। এই উপাদানগুলি কখনও কখনও সাইনাসের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে সুগন্ধিতে যদি ধোঁয়া, আতর ও ক্লোরিন মিশে থাকে, তবে এই সমস্যার ঝুঁকি আরও বেশি। নাসিকাগহ্বরের ভিতর যে মিউকাসের আস্তরণ থাকে, সেই স্তরে বাহ্যিক হরেক রকমের উপাদান আটকা পড়ে যায়। এই স্তরে যদি অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান জমা হয় তবে শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে মাথা যন্ত্রণাও।
অসমোফোবিয়া
গন্ধ সহ্য করতে না পারার সমস্যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে অসমোফোবিয়া। কেউ কেউ তীব্র গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। বিশেষ করে, যাঁদের মাইগ্রেন আছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেকটাই বেশি। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ মাইগ্রেন রোগী তীব্র গন্ধে মাথা ধরার সমস্যায় ভোগেন। তামাকের গন্ধ, গাড়ির ধোঁয়া, ঘর পরিষ্কার করার রাসায়নিকের গন্ধ ও সুগন্ধির কড়া সুবাস থেকে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে।
অনুভূতি
ভেবে দেখুন মায়ের গায়ের গন্ধ পেলে শিশুরা শান্ত হয়ে যায়। কেন জানেন? তার কারণ গন্ধের সঙ্গে আমাদের অনুভূতির এক ধরনের নিবিড় যোগ রয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট গন্ধ নির্দিষ্ট সঙ্কেত পাঠায় মস্তিষ্কে। কখনও কখনও কোনও গন্ধের সঙ্গে যদি খারাপ কোনও স্মৃতি জড়িয়ে থাকে তবে, সেই গন্ধ নাকে গেলে মস্তিষ্ক সেই সব খারাপ স্মৃতি নিয়ে নড়াচড়া করতে শুরু করে। বাড়ে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ। উদ্বেগ থেকে মাথার পিছন দিকে ও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy