Advertisement
E-Paper

ওজন কম বলে ভয় পাচ্ছেন? অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কিছু নিয়ম মানলেই সুস্থ থাকবে শিশু

মায়ের ওজন কম থাকলে সদ্যেজাতের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই গর্ভাবস্থার এই পর্বে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ১০:৫৬
Symbolic Image.

—প্রতীকী ছবি।

ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়। সে কারণে হবু মায়েদের ওজন যদি কম হয়, তা হলে বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। মায়ের ভালমন্দের সঙ্গে ভাবী সন্তানেরও ভালমন্দ জড়িয়ে থাকে। এমনিতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সাধারণত ওজন বাড়তে থাকে। সেটা সাধারণ এবং স্বাভাবিক বিষয়। ওজন অত্যধিক বেড়ে গেলে যেমন চিন্তার বিষয়, তেমনই ওজন কম থাকলেও ঝুঁকি থাকে।

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম তিন মাসে এমনিতেই ওজন ওঠানামা করে। বিভিন্ন কারণে কমেও যেতে পারে। ওজন কমে যাওয়ার নেপথ্যে যে কারণগুলি থাকে, তার মধ্যে অন্যতম মানসিক উদ্বেগ। শরীরে নতুন প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রেই মায়েদের চিন্তা শুরু হয়ে যায়। একটা প্রাণকে শরীরের ভিতরে সুস্থ ভাবে বড় করে তোলা সহজ কথা নয়। সেই সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ কিছু পরিবর্তন আসে। খিদে কমে যাওয়া, বমি পাওয়া, কিছু খেতে ইচ্ছা না করা, অন্তঃসত্ত্বায় অবস্থায় এগুলি খুবই সাধারণ কিছু সমস্যা। সেই কারণে ওজন আরও কমতে থাকে। মায়ের ওজন কম থাকলে সদ্যেজাতের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই গর্ভাবস্থার এই পর্বে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

১) খাবার খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এই সময়ে খাবারের প্রতি একটা অনীহা তৈরি হয়। তেমনটি করলে চলবে না। অল্প পরিমাণে খাবার বার বার খান। একসঙ্গে একগাদা খাবার খেয়ে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রোটিন, ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। ডিম, মাছ, মাংস, সব্জি, ফল রোজের পাতে রাখতে হবে। বাইরের খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করতে হবে।

২) মানসিক উদ্বেগ কমাতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময়ে মনে নানা ধরনের চিন্তা আসে। সেগুলি কমাতে হবে। মন সব সময় খুশি রাখতে হবে। সিনেমা দেখলে কিংবা পছন্দের বই পড়লে মন ভাল থাকবে। কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তা কিংবা উদ্বেগকে প্রশ্রয় দেবেন না।

৩) মায়ের ওজন কম হলে অতি অবশ্যই পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটা ডায়েট রুটিন বানিয়ে নেওয়া জরুরি। এই সময়ে কোন খাবারগুলি মা খাবেন, তা নিজেরা ঠিক করার চেয়ে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন।

৪) পুষ্টিবিদের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শগুলিও মাথায় রাখতে হবে। মায়ের ওজন কম থাকলে এই সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোনও সমস্যা যদি দেখা দেয়, দেরি না করে চিকিৎসককে তা জানানো প্রয়োজন।

Pregnancy Mother child
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy