ছানির অস্ত্রোপচারের পর চাই বাড়তি যত্ন। ছবি: শাটারস্টক।
বার্ধক্যের অন্যতম লক্ষণ হল ছানি পড়া। পুরুষ-নারী নির্বিশেষে চোখে ছানি পড়তে পারে। ওষুধে বা চশমা বদল করলে ছানি দূর হয় না। অস্ত্রোপচারই এর একমাত্র পথ। চোখের ভিতরে যে লেন্স রয়েছে, সেখানে আলো প্রবেশের পথ বাধাপ্রাপ্ত হলে, রেটিনার উপরে যে আস্তরণ পড়ে, তাকেই বলা হয় ‘ছানি’। এর ফলে ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকে। ছানি অস্ত্রোপচার করা মানে ওই পর্দা সরিয়ে একটি কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন করা। ডায়াবিটিস বা থাইরয়েডের মতো অসুখ থাকলে, ছানি তাড়াতাড়ি পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কখনও আবার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ছানি পড়তে পারে। তবে অস্ত্রোপচারের ফলে ছানির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়। ছানির অস্ত্রোপচারের পর নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
কী কী করতে পারবেন
১) চোখের ওষুধ লাগাতে হবে নিয়ম মেনে। তবে কোনও ধরনের ওষুধ দেওয়ার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে হাত।
২) পর্যাপ্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।
৩) চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরে থাকতে হবে চশমা। শুধু বাইরেই নয়, বাড়িতেও।
৪) টিভি দেখা, বই পড়ার মতো দৈনন্দিন কাজ করা যেতে পারে। তবে তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়।
৫) কোনও রকম সমস্যা হলে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকদের সঙ্গে।
৬) ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ও সবুজ শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে।
কী কী করবেন না
১) অস্ত্রোপচারের পর শরীরচর্চা, ভারী ওজন তোলার মতো কাজ ভুলেও করবে না।
২) কোনও মতেই ডলবেন না চোখ।
৩) হাঁচি, কাশি ও মলত্যাগের সময় জোর দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে অন্তত মাসখানেক।
৪) সংক্রমণ এড়াতে সাঁতার কাটা যাবে না। স্নানের সময় বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।
৫) ছানির অস্ত্রোপচারের পর কিছু দিন গাড়ি চালাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy