Advertisement
E-Paper

ভিটামিন ডি-এর সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছেন? মাত্রা বেশি হয়ে গেলে কী ক্ষতি হতে পারে শরীরের?

শরীরে ভিটামিন ডি-র অত্যধিক ঘাটতি দেখা দিলে তখন অনেকেই ভরসা রাখেন ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের উপর। সুস্থ থাকতে ভিটামিন ডি অবশ্যই জরুরি। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের ভাষায় একে বলা হয় হাইপারভিটামিনোসিস ডি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৪২
চিকিৎসকের পরমর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি-এর সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছেন?

চিকিৎসকের পরমর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি-এর সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছেন? ছবি: শাটারস্টক।

হাড় মজবুত করতে তো বটেই, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন ডি মূলত শরীরের স্নেহপদার্থ দ্রবীভূত করার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। যা সূর্যালোকের প্রভাবে শরীরের কোষে তৈরি হয়। তবে ভিটামিন ডি অন্যান্য ভিটামিনের চেয়ে কিছুটা আলাদা। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ত্বক থেকে এক ধরনের স্টেরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। যা শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক বার .যদি রোদে দাঁড়ানো যায়, শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি তৈরি হতে পারে না। সূর্যের আলো ছাড়াও দুগ্ধজাত খাবার বা ডিমের মতো কিছু খাবার থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র অত্যধিক ঘাটতি দেখা দিলে তখন অনেকেই ভরসা রাখেন ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের উপর। সুস্থ থাকতে ভিটামিন ডি অবশ্যই জরুরি। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের ভাষায় একে বলা হয় হাইপারভিটামিনোসিস ডি।

শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেড়ে গেলে তার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালশিয়ামের মাত্রাও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম ধমনীগুলির ক্ষতি করতে শুরু করে। শুধু তা-ই নয় এর ফলে কিডনিরও ক্ষতি হয়, কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

শরীরে কোনও উপাদানের ঘাটতি তৈরি হলে যেমন কিছু লক্ষণ শরীরে ফুটে ওঠে, তেমনই কোনও উপাদান যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়ে যায়, তা হলেও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। আর তখন সাবধান হওয়া জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় ভিটামিন ডি শরীরে বেশি হয়ে গিয়েছে কি না, কী ভাবে তা বুঝবেন?

১) ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত থাকলে ক্যালশিয়ামের পরিমাণও বৃদ্ধি পায় শরীরে। ক্যালশিয়াম হাড় সুস্থ রাখে। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র অতিরিক্ত ব্যবহার রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে হাইপারক্যালশেমিয়া। ৮.৫-১০.৮ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম শরীরে থাকলেই যথেষ্ট। স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বমি, পেটে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, সব সময় দুর্বল লাগা।

২) ভিটামিন ডি-র পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে খিদে কমে যায়। খাবারের প্রতি অনীহার একটি কারণ হতে পারে এটি। খুব বেশি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার অভ্যাসেই এমন হয় সাধারণত। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা কতটা, তা জেনে নিয়ে খাওয়াই ভাল।

৩) ভিটামিন ডি হাড়ের যত্ন নেয়। আবার, ভিটামিন ডি-এর মাত্রা যদি শরীরে বেশি হয়ে যায়, তা হলে উল্টোটাও হতে পারে। হাইপারক্যালশেমিয়ার কারণে হাড় ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। হাড়ে যন্ত্রণা, পেশির নানা সমস্যা মাঝেমাঝেই দেখা দিতে পারে।

Vitamin D
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy