কেবল কোভিড নয়, বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর আক্রমণেই নাক বন্ধ হতে পারে, তাই প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্যা। শীতকালে এই সমস্যা আরও বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
কোভিডের উপসর্গ আর সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গের মিল এতটাই যে, এক বেলা নাক বন্ধ থাকলেই তৈরি হচ্ছে দুশ্চিন্তা। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, কেবল কোভিড নয়, বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর আক্রমণে একই অবস্থা হতে পারে নাকের। তাই প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্যা। শীতকালে এই সমস্যা আরও বাড়ে।
বহিঃ নাসারন্ধ্র ও অন্তঃ নাসারন্ধ্র যখন কোনও কারণে প্রদাহের শিকার হয়, তখন এখানকার কোষগুলি ফুলে ওঠে। ফলে নাসিকাপথে বায়ু চলাচল কঠিন হয়ে ওঠে। আক্রান্ত ব্যক্তির মনে হয় নাক যেন বন্ধ হয়ে আছে। পাশাপাশি, জীবাণুর সংক্রমণের ফলে অনেক সময়ে শ্বাসনালীতে জমে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা। এগুলি নাসারন্ধ্রের ভিতরে জমা হলে বেড়ে যায় সমস্যা।
১) রসুন: এক কাপ জলে দু’-তিন কোয়া রসুন ফুটিয়ে নিন। এর সঙ্গে মেশান আধ চামচ হলুদ গুঁড়ো। এই জল খেলে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
২) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এক কাপ গরম জলে দু’টেবিল চামচ ভিনিগার ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেলে মিউকাস পরিষ্কার হবে। দিনে দুই থেকে তিন বার খান। সর্দি সম্পূর্ণ কমে যাবে।
৩) ভাপ নেওয়া: ফুটন্ত জলের মধ্যে জোয়ান গুঁড়ো মিশিয়ে সেই জলের শ্বাস নিন। এতে বন্ধ নাক খুলে যাবে, মাথাও হালকা লাগবে।
৪) নুন জল: দু’কাপ গরম জলে এক চা চামচ নুন মিশিয়ে নিন। এই জল নাক দিয়ে টানতে থাকুন। নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৫) গোলমরিচ: বন্ধ নাক খুলতে গোলমরিচ বেশ উপকারী। হাতের তালুতে অল্প একটু গোলমরিচ গুঁড়ো নিয়ে সামান্য সর্ষের তেল দিন। আঙুলে লাগিয়ে নাকের কাছে ধরুন। হাঁচি হবে। সেই সঙ্গেই নাক একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy