Advertisement
E-Paper

ঠান্ডা না লেগেও কাশি, কফের সঙ্গে রক্ত কি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ? মহিলাদের সতর্ক হতে হবে

মহিলাদের ক্ষেত্রে একটানা শুকনো কাশি ও কফের সঙ্গে রক্ত বেরোলে বুঝতে হবে তা হৃদ্‌রোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুনতে অবাক লাগলেও তা সত্যি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১১:৩১
What are the cause and symptoms of Silent Heart Attack in women

একটানা শুকনো কাশি, কফের সঙ্গে রক্ত কি হার্ট অ্যাটাকের পূর্বলক্ষণ? ছবি: ফ্রিপিক।

বারো মাসই কাশি ভোগায়, অনেক মহিলাই এমন বলে থাকেন। ঠান্ডা না লাগা সত্ত্বেও যদি কাশি থাকে এবং মাঝেমধ্যে কফের সঙ্গে রক্ত বার হয়, তা হলে সাবধান হতেই হবে। লালচে বা গোলাপি রঙের কফ মানেই লক্ষণ সুবিধার নয়। অনেকেই ভাবেন যে অ্যালার্জি বা গলায় সংক্রমণের কারণে এমন হচ্ছে। নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিকও খেয়ে ফেলেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ক্ষেত্রে একটানা শুকনো কাশি ও কফের সঙ্গে রক্ত বেরোলে বুঝতে হবে তা হৃদ্‌রোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুনতে অবাক লাগলেও তা সত্যি। এই উপসর্গ খুব চেনা নয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে তা হার্টের রোগেরই পূর্বলক্ষণ।

সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক থেকে সাবধান

চিকিৎসক দিলীপ কুমারের মতে, অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম, ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া এর কারণ। রজোনিবৃত্তির পরে শরীরের যে যত্ন নিতে হয়, তা-ও নেন না অনেক মহিলাই, ফলে চুপিসারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ছে মহিলাদেরও। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সমীক্ষা বলছে, ৪০ শতাংশ মহিলার মৃত্যুর কারণ হৃদ্‌রোগ। আর এর নেপথ্যে রয়েছে ধূমপান, অ্যালকোহলের নেশা, জীবনযাপনে অসংযম।

হার্টের রোগ মানেই যে বুকে ব্যথা হবে তা নয়। আরও নানা রকম লক্ষণ দেখা দেয়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে শুকনো কাশিও একটি উপসর্গ। হার্ট ঠিকমতো রক্ত সংবহন করতে না পারলে তা গিয়ে জমা হয় ফুসফুসে। ফলে সেখানে প্রদাহ তৈরি হয়। রক্ত মিশ্রিত মিউকাস উঠে আসে গলা দিয়ে। সেই জন্য কফের সঙ্গে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। গলা, ঘাড় ও চোয়ালে ব্যথা হতে পারে। এই সব লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে রাখবেন?

কারও যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস বা পরিবারে কারও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে ৩০ বা ৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে এক বার করে হার্টের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল। নিয়মিত ই সি জি পরীক্ষা, ব্লাড সুগারের পরীক্ষা এবং ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করাতে হবে। দিনে অন্তত এক মাইল হাঁটতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করতে হবে। মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। নিয়মিত রক্তের সিরাম, লিপিড পরীক্ষা করাতে হবে। সেই সঙ্গে ‘সিটি ক্যালশিয়াম স্কোর’ টেস্ট করিয়ে রাখাও ভাল। এর থেকে বোঝা যাবে হার্টের ধমনীতে ক্যালশিয়াম জমে ‘প্লাক’ তৈরি হচ্ছে কি না।

Heart Attack Silent Heart Attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy