অকালবার্ধক্য কী ভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে বিশ্ব জুড়েই গবেষণা চলছে। বয়সের চাকায় লাগাম পরাতে নতুন কত কিছু আবিষ্কার করছেন গবেষকেরা। চলছে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা। যতই নতুন প্রযুক্তি বা ওষুধ তৈরির চেষ্টা হোক না কেন, যদি প্রাকৃতিক নিয়মেই যৌবন ধরে রাখতে হয়, তা হলে যোগাসনের চেয়ে ভাল পদ্ধতি কিছু হতে পারে না। এমন কিছু আসন আছে, যা নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলে সারা শরীর টানটান থাকবে। অবাঞ্ছিত মেদের হাত থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যাবে, তেমনই চেহারায় যৌবনের সতেজতা বজায় থাকবে। এমনই একটি আসন হল একপদ রাজ কপোতাসন। যাকে যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন, পায়রার মতো আসনের ভঙ্গি।
কী ভাবে করবেন রাজ কপোতাসন?
১) ম্যাটের উপর সোজা হয়ে সুখাসনে বসুন। শ্বাসপ্রশ্বাসের স্বাভাবিক থাকবে।
২) এ বার একটি পা পিছনের দিকে, অন্য পা সামনের দিকে প্রসারিত করে দিন।
৩) পিছনের পায়ের হাঁটু ভেঙে পায়ের পাতা দুই হাত দিয়ে ধরুন। হাত দু’টি মাথার উপর দিয়ে যাবে।
৪) মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে দিন। দুই হাত ও পিছনের পা টানটান থাকবে।
আরও পড়ুন:
৫) সামনের পা মুড়ে যতটা সম্ভব টেনে আনুন।
৬) এই আসনে বুক টানটান রাখতে হবে।
কেন করবেন?
নিতম্বের ব্যায়াম হয় এই আসনে। নিতম্বের মেদ কমবে।
শরীরের নিম্নাংশের মেদ কমাতে এই আসনটি উপযোগী।
মেরুদণ্ডের স্ট্রেচিং হবে, পিঠ-কোমরের ব্যথাবেদনা কমবে।
শরীরের পেশি নমনীয় হবে, পেশির টান, খিঁচুনি থেকে রেহাই পাবেন।
পায়ের পেশির শক্তি বাড়বে, পাশাপাশি হাতের পেশিরও স্ট্রেচিং হবে।
কারা করবেন না?
মেরুদণ্ডে আঘাত লাগলে আসনটি করা যাবে না।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি না করাই ভাল।
রাজ কপোতাসন অভ্যাসের আগে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে হবে।