অল্পেই ক্লান্তি, আচমকাই বাড়ছে ওজন। অকালে ঝরছে চুল, শুকনো খসখসে ত্বক। সেই সঙ্গেই বুক ধড়ফড়, অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে হৃৎস্পন্দন। ছোটখাটো শারীরিক সমস্যাগুলি প্রায়ই এড়িয়ে যাওয়া হয়। অথচ প্রতিটি লক্ষণের পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা। থাইরয়েড একটি গ্রন্থি, যা গলায় শ্বাসনালির ঠিক সামনের দিকে অবস্থিত। এই গ্রন্থি থেকে যে হরমোনের ক্ষরণ হয়, তা মানুষের শরীরের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। বিপাকক্রিয়া, বুদ্ধির বিকাশ, বয়ঃসন্ধির লক্ষণ, মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র, সন্তানধারণ— সবই নির্ভর করে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের উপরে। এর হেরফের হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে থাকে। প্রভাব পড়ে ঋতুচক্রে। সন্তানধারণেও সমস্যা আসে অনেক সময়েই। তাই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু ওষুধ নয়, নিয়ম করে যোগাসনও অভ্যাস করতে হবে।
সালম্ব সর্বাঙ্গাসন যোগাসনের এমন এক পদ্ধতি যা নিয়ম করে অভ্যাস করলে থাইরয়েডজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এই আসনের পদ্ধতি একটু জটিল। ধীরে ধীরে অভ্যাস করলে তা আয়ত্তে আসবে। একে বলা হয় ‘শোল্ডার স্ট্যান্ড’।
কী ভাবে করবেন?
১) চিত হয়ে শুয়ে পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন।
২) এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলেরখায় থাকে।
৩) শ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে।
৪) স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে ওই ভঙ্গিতে ৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে।
৫) এ বার আগের অবস্থানে ফিরে এসে শবাসনে বিশ্রাম নিতে হবে।
আরও পড়ুন:
কেন করবেন?
১) বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যায়। পেটের ও অন্ত্রের গোলযোগ দূর হয়।
২) মানসিক অবসাদ দূর করে। অনিদ্রায় ভুগলে এই আসনটি বেশ উপকারী। শরীরকে সুস্থ সবল রাখে।
৩) ঋতুস্রাবজনিত সমস্যার সমাধান হয়, হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো হবে।
৪) নিয়মিত অভ্যাসে বন্ধ্যত্বের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
৫) শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলাইটিস— এই সব শারীরিক সমস্যা থাকলে এই আসনটি করলে উপকার পাবেন।
কারা করবেন না?
হার্টের রোগ থাকলে আসনটি করবেন না।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই আসনটি কখনওই করবেন না।
চোখের সমস্যা থাকলে, আসনটি করা উচিত হবে না।