দিনভর অফিসের চেয়ার বসে পিঠে-কোমরে ব্যথা। মনের উপর চাপও পাহাড়প্রমাণ। ব্যথাবেদনা নিয়ে পুজোয় ঘোরাঘুরি করা প্রায় অসম্ভব। তাই যদি পুজোয় ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা থাকে, তা হলে এখন থেকেই সারিয়ে ফেলুন পিঠ-কোমরের ব্যথা। তার জন্য ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। রোজ অভ্যাস করুন শশঙ্কাসন। আসনের পদ্ধতি খুব জটিল নয়। নিয়মিত অভ্যাসে পেটের মেদ ঝরবে। চেহারাও টানটান দেখাবে।
কী ভাবে করবেন শশঙ্কাসন?
১) হাঁটু ভাঁজ করে ম্যাটের উপর বসুন। পায়ের পাতা যেন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে, সে দিকে লক্ষ রাখুন। এই অবস্থায় পিঠ, ঘাড় ও মাথা এক সরলরেখায় টানটান থাকবে।
২) দু’হাত রাখুন দুই হাঁটুর উপর। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে। এটি বজ্রাসন, শশঙ্কাসন শুরুর প্রথম ধাপ।
৩) এর পর দুই হাত কানের পাশ দিয়ে যতটা সম্ভব উপরের দিকে তুলুন।
৪) ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নিতম্ব থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে মাটিতে হাঁটুর সামনে মাথা ঠেকান। প্রথমে দু’হাত সামনে ছড়িয়ে প্রণামের ভঙ্গিতে রাখুন। পরে হাত নিয়ে যান গোড়ালির পাশে।
৫) এই অবস্থানে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে। তার পর আগের অবস্থানে ফিরে যান।
আরও পড়ুন:
উপকারিতা
১) নিয়মিত শশঙ্কাসন অভ্যাস করলে পিঠ ও কোমরের ব্যথা সেরে যাবে।
২) এই আসন অভ্যাসে পেশি টানটান হবে, শরীরের গড়ন সুন্দর হবে।
৩) শশঙ্কাসন খুব ভাল স্ট্রেচিং। এই আসন অভ্যাস করলে হাত ও পায়ের পেশির ব্যায়ামও হবে।
৪) রোজ অভ্যাস করলে তলপেটের মেদ কমবে।
৫) প্রজনন ক্ষমতা বাড়বে এই আসন অভ্যাসে।
৬) নিয়মিত অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।
৭) মানসিক চাপ কমবে। অবসাদ, উদ্বেগ দূর হবে।
কারা করবেন না?
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আসনটি না করাই ভাল।
ভার্টিগোর সমস্যা থাকলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি করবেন না।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি না করাই শ্রেয়।