Advertisement
E-Paper

দু’বার কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হন মহিলা, কোন কোন উপসর্গ ধরতেই পারেননি চিকিৎসকেরা?

২০১৭ সালে প্রথম কোলন ক্যানসার ধরা পড়ে। বছর চারেক পর ফের ক্যানসারে আক্রান্ত হন দুই সন্তানের মা শেরি রোলিনস। কোন উপসর্গগুলি পাত্তা না দেওয়ার কারণেই হল এমন?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:০৪
Symbolic Image.

ছবি: সংগৃহীত।

বয়স ৫০-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দু’বার অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে দু’বারই মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা শেরি রোলিনস। শেরি কিছু দিন আগে ৫০-এ পা দিয়েছেন। দুই সন্তানের মা শেরি প্রথম ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০১৭ সালে। কোমরে যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। তবে প্রথম দিকে বিষয়টিকে তত পাত্তা দেননি। কিন্তু ব্যথা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যাও জাঁকিয়ে বসে। আর ফেলে রাখা ঠিক হবে না ভেবে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন শেরি। পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে কোলন ক্যানসার। ক্যানসার হয়েছে শুনে ভেঙে পড়েননি শেরি। তবে একটা আশঙ্কা মনের মধ্যে কাজ করছিল। শেরির বাবাও অন্ত্রের ক্যানসারে ভুগেই মারা গিয়েছিলেন।

ক্যানসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসা শুরু হয়। পর্যাপ্ত চিকিৎসায় বছরখানেকের মধ্যেই ক্যানসার থেকে সেরে ওঠেন। কিন্তু মারণরোগ যে তাঁর পিছু ছাড়েনি, তা বোঝা যায় বছর চারেক পরে। ৪ বছর পর ফের অন্ত্রের ক্যানসার ধরা পড়ে। দ্বিতীয় বার ক্যানসার ধরা প়ড়ে অনেক দেরিতে। তত ক্ষণে ক্যানসারের চতুর্থ ধাপ পেরিয়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করা হয়। দেরিতে ধরা পড়লেও সঠিক চিকিৎসার কারণে সে যাত্রায়ও সুস্থ হয়ে ওঠেন শেরি।

অন্ত্রের ক্যানসার হল নীরব ঘাতক। ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় ১.৯ লক্ষ মানুষ অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এই ক্যানসার শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না, তা সব সময়ে বোঝা যায় না। যখন ধরা পড়ে, তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। শেরির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। প্রথম বার যথন শেরির ক্যানসার ধরে পড়ে তখন উপসর্গ বলতে কোমরে ব্যথা এবং ঘন ঘন পেটের গোলমাল হয়েছিল। দ্বিতীয় বার সেগুলির সঙ্গেই ওজন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত দু্র্বলতা, মলের সঙ্গে রক্তপাতের মতো লক্ষণগুলিও দেখা দিয়েছিল।

‘আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি’-র করা গবেষণা জানাচ্ছে, পরিবারের কারও যদি অন্ত্রের ক্যানসার হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়। শেরির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। এ ছাড়া, টাইপ ২ ডায়াবিটিস, গ্যাস-অম্বলের ক্রনিক সমস্যা থাকলেও অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অস্ত্রোপচার এবং কেমোথেরাপির পর শেরি এখন পুরোপুরি সুস্থ। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে তাঁর পরামর্শ, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। এমন ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা পুষে রাখলেই বড় রোগের মুখোমুখি হতে হয়।

Symptoms of Colon Cancer Cancer Colon Cancer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy