বাড়িতে ওষুধের বাক্সে ওষুধ রাখা থাকে। দৈনন্দিন ওষুধের নির্ভরতা না থাকলে, কোনও বিপদ হলে তখন ওষুধ প্রয়োজন। জ্বর, কাশির মতো ছোটখাটো সমস্যা থেকে কোনও আঘাত— ওষুধ প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সময়েই তাড়াহুড়োয় ওষুধের মেয়াদ পরীক্ষা করা হয় না। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেলে কী কী বিপদ হতে পারে?
আরও পড়ুন:
সাধারণত, প্রস্তুতকার সংস্থার তরফে ওষুধের মেয়াদ তার গায়ে লেখা থাকে। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সেই ওষুধের কার্যক্ষমতা সময়ের সঙ্গে কমতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, অনেক ক্ষেত্রে ওষুধটি বিষে পরিণত হয়। বিশেষ করে অজান্তে মেয়াদ উত্তীর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক, হার্টের ওষুধ বা ইনসুলিন কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়।
ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে, তার কার্যক্ষমতা কমে আসে। কারণ তখন ওষুধের মধ্যে উপস্থিত রাসায়নিক মৌলগুলির চরিত্র এবং আকারও বদলাতে শুরু করে। সেই ওষুধ খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। পেট ব্যথা শুরু হতে পারে। ওষুধভেদে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তবে অজান্তে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেলে চিকিৎসা সময়ানুযায়ী হয় না। ফলে রোগীর সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। জেনে রাখা উচিত, এই ধরনের ওষুধ খেলে দেহে অনেক সময়েই ভাল ওষুধের বিরুদ্ধে জীবাণুরা আরও বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। ফলে পরবর্তী সময়ে আরোগ্যলাভের ক্ষেত্রেও বেশি সময় লাগতে পারে।
কী করা উচিত
বাড়িতে নিয়মিত ওষুধের মেয়াদ দেখা নেওয়া উচিত। কোনও ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, তা তখনই ফেলে দেওয়া উচিত। তাতে পরবর্তী সময়ে তা ভুলবশত খেয়ে ফেলার আশঙ্কা কমবে। বড়ির তুলনায় তরল ওষুধ সাধারণত দ্রুত নষ্ট হয়। তাই বাড়িতে স্যাঁতসেঁতে কোনও জায়গায় তরল ওষুধ রাখা উচিত নয়। কোনও ওষুধ নিয়ে মনের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হলে, সব সময়েই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।