গর্ভ পিণ্ডাসনকে যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন ‘গর্ভাসন’। প্রাচীন যোগাসন পদ্ধতিগুলির মধ্যে এটি এমন একটি আসন, যা বন্ধ্যত্বের সমস্যা দূর করতে পারে বলে দাবি করা হয়। এই আসন মহিলা ও পুরুষেরা নিয়মিত অভ্যাস করলে প্রজনন ক্ষমতা বাড়বে। মহিলাদের জরায়ুর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, ঋতুকালীন সময়ে পেটে যন্ত্রণা ও যাবতীয় অসুখবিসুখের ঝুঁকি কমবে।
গর্ভাসনকে বলা হয় ‘উম্ব পোজ়’ অর্থাৎ এই আসনটি করার সময় শরীরের ভঙ্গিমা এমন হয়, যা দেখতে লাগে গর্ভস্থ ভ্রূণের মতো। মহিলাদের শ্রোণি বা পেলভিক অঞ্চলের ব্যায়াম হয় এটি করলে। এতে শ্রোণি অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যা গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করে।
কী ভাবে করবেন গর্ভ পিণ্ডাসন?
১) ম্যাটের উপর সুখাসনে বসুন। পিঠ টানটান থাকবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
২) এ বার বাঁ পা মুড়ে পায়ের পাতা ডান পায়ের ঊরুর উপর রাখতে হবে।
৩) একই ভাবে ডান পা মুড়ে ডান পায়ের পাতা বাঁ পায়ের ঊরুর উপর রাখতে হবে।
৪) দুই পা মোড়া অবস্থায় এমন ভাবে থাকবে, যা পেলভিক অংশের উপর চাপ দিতে পারে।
৫) দুই হাত দুই ঊরুর নীচ দিয়ে নিয়ে গিয়ে মাটি স্পর্শ করতে হবে।
৬) এই ভঙ্গিমায় ২০ সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে।
আরও পড়ুন:
লাভ কী?
১) জরায়ু ভাল রাখে। পিসিওএসের ঝুঁকি কমাতে পারে এই আসন। নিয়মিত অভ্যাস করলে জরায়ুতে সিস্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
২) বন্ধ্যত্বের সমস্যা দূর করতে খুবই উপযোগী এই আসন।
৩) শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখবে গর্ভাসন।
৪) পায়ে ব্যথা, কাফ মাসলের ব্যথা কমবে এই আসন অভ্যাস করলে।
৫) পেলভিক অংশের ভাল ব্যায়াম হবে।
৬) ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা দূর করতেও আসনটি উপযোগী।
৭) নিয়মিত অভ্যাসে মানসিক চাপ কমবে, দুশ্চিন্তা দূর হবে।
কারা করবেন না?
মেরুদণ্ড, নিতম্বে ব্যথা বা আঘাত লাগলে আসনটি করা যাবে না।
ভার্টিগো, মাইগ্রেন থাকলে আসনটি না করাই ভাল।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে আসনটি করা যাবে না।
হিপ সার্জারি হলে গর্ভাসন করা অনুচিত।