বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণুর মধ্যে জিনগত বদল আসতে পারে। প্রতীকী ছবি।
পুরুষদের অনেকেই ভাবেন, বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না। এই ধারণা কিন্তু সব সময় ঠিক না-ও হতে পারে। মেয়েদের মা হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিম্বাণু উৎপাদনের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। সেই দিকে পুরুষদের শুক্রাণু উৎপাদনের নির্দিষ্ট কোনও সীমারেখা থাকলেও, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়স পিতা হওয়ার জন্য আদর্শ। তবে এ কথাও ঠিক যে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সি পুরুষও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। হলিউড তারকা রবার্ট ডি নিরো থেকে ইলন মাস্কের বাবা ইরল মাস্ক, অনেকেই ৬০ পেরোনোর বহু পরেও বাবা হয়েছেন। কারণ, শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কার্যত কখনও বন্ধ হয় না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পুরুষদের ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণুর মধ্যে জিনগত বদল আসতে পারে। ফলে শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বেশি বয়সে সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হলেও শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল ও ইজরায়েলের ডিকোনেস মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকদের যৌথ একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তিরিশের আশপাশে থাকা পুরুষদের ক্ষেত্রে আইভিএফ পদ্ধতি সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৭৩ শতাংশ। কিন্তু চল্লিশ পেরিয়ে গেলে সেই সম্ভাবনা অর্ধেকের থেকেও কম।
সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম না খাটলেও বহু পুরুষই বেশি বয়সে বাবা হতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জীবনধারায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়মও পুরুষদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস ও অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া, ধূমপান কিংবা মদ্যপান অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে সমস্যা। তা ছাড়াও অতিরিক্ত মানসিক চাপ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, স্থূলতাও পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy