পুজোর আগেই সুঠাম, মেদহীন চেহারা অনেকে চান। সারা ক্ষণ বাইরের খাবার খাওয়া, শরীরচর্চার প্রতি অনীহা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব— বিভিন্ন কারণে পেটের মেদ বাড়তে পারে হু হু করে। সঠিক সজাগ না হলেই কিন্তু ভুঁড়ি কিংবা ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতেও সময় লাগে না। তবে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। জিমে না গিয়ে, মুঠো মুঠো বাজারচলতি ক্ষতিকর সাপ্লিমেন্ট না খেয়েও পেটের মেদ ঝরানো সম্ভব। নিয়মিত যোগাসন করলেই হতে পারে সমস্যার সমাধান। হাতে এখনও দু’মাস বাকি, ওজন ঝরাতে যোগের উপর নির্ভর করতেই পারেন। তবে কেবল যোগাসন করলেই হবে না, সঙ্গে কিন্তু খাওয়াদাওয়াতেও নজর রাখতে হবে। যোগাসনের সময়ে শরীর স্ট্রেচ করতে, ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে পুষ্টিকর খাবারদাবার রোজের ডায়েটে রাখতে হবে। জেনে নিন, যোগাসন করার সময়ে কেমন হবে রোজের ডায়েট।
যোগাসনের আগে ও পরে কী কী খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে?
১) আসন করার আগে খুব বেশি খাবার না খাওয়াই ভাল। তবে আসনের পর শরীরে ক্লান্তি আসে। চটজলদি চাঙ্গা হতে একটা কলা খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে খেতে পারেন গ্রিক ইওগার্ট আর বেরিজাতীয় ফল। কলার কার্বোহাইড্রেট, গ্রিক ইওগার্টে থাকা প্রোটিন আর বেরিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চটজলদি শক্তি জোগাতে বেশ কার্যকর।
২) যোগাসন করার সময়ে শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয়, সে দিকেও নজর দিতে হবে। যোগাসনের সময়ে শরীর যত নমনীয় থাকবে, ততই ভাল। শরীরে জলের ঘাটতি হলে স্ট্রেচিংয়ের সময়ে চোট লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গে পেশিতে টান লাগা, পেশিতে যন্ত্রণার মতো সমস্যা হয়।
৩) ডায়েটে বেশি করে প্রোটিন রাখতে হবে। ওজন ঝরানোর সময়ে ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা যত কম হবে, ততই ভাল। যোগাভ্যাসের সময়ে ডায়েটে বেশি করে প্রোটিন রাখুন। এ ক্ষেত্রে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল বেশি করে রাখতে হবে। ভাত, রুটি, চাউমিন, পাস্তা ডায়েটে যত কম রাখবেন, ততই ভাল।
জিমে না গিয়ে, মুঠো মুঠো বাজারচলতি ক্ষতিকর সাপ্লিমেন্ট না খেয়েও পেটের মেদ ঝরানো সম্ভব।
৪) বাদাম, আখরোট এবং চিয়া বীজ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিনের ভাল উৎস। পেশি মেরামতির কাজে বিভিন্ন রকম বাদাম বেশ উপকারী। যোগাসন শুরুর আগে একটু কাঠবাদাম, অখরোট, পেস্তা খেয়ে নিতে পারেন।
৫) ডায়েটে বেশি করে শাকসব্জি রাখুন। সবুজ শাকসব্জি ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর থাকে। শরীর চাঙ্গা রাখতে, শরীরে স্ফূর্তি জোগাতে ভিটামিন ও খনিজ ভীষণ জরুরি।