হার্টের সমস্যা বেশি না কম বোঝার জন্য যে সব মানদণ্ড খতিয়ে দেখা হয়, তার একটি হল ট্রাইগ্লিসারাইড। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রার মতোই এটিও হার্টের রোগের কারণ হতে পারে। প্রভাবিত করতে পারে হার্ট থেকে গোটা শরীরে রক্ত সঞ্চালনার প্রক্রিয়া। অনেকেরই লিপিড পরীক্ষায় ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি থাকে। তেমন হলে তাঁদের কোন কোন খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত হবে না জানেন কি?
আমেরিকার সাভানা নিবাসী কার্ডিয়ো থোরাটিক সার্জন তথা এম ডি জেরেমি লন্ডন তাঁর নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলছেন, যদি কারও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি থাকে, তবে তাঁর অবিলম্বে, অতিরিক্ত চিনি, সিম্পল কার্বোহাইড্রেট এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে এমন খাবারএড়িয়ে চলা উচিত। এঁদের কী কী খাবারে নিয়ন্ত্রণ আনা উচিত, তার একটি তালিকাও দিয়েছেন চিকিৎসক।
১। চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়
এই তালিকায় রয়েছে ক্যান্ডি, কুকিজ, কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি দেওয়া নরম পানীয়, যেমন সোডা, আইসড টি, ফলের রস, মিষ্টি দই, আইসক্রিম ইত্যাদি। এ ছাড়া মধুতেও অনেক সময় চিনি দেওয়া থাকে বলে জানাচ্ছেন জেরেমি।
২। যে সমস্ত শর্করাজাতীয় খাবারে ফাইবারের মাত্রা কম
ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি, পাস্তা, ন্যুডলস, সাদা ভাত, ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, বিস্কুট, কেক, প্যাটিস বা ময়দা দিয়ে তৈরি যেকোনও খাবারই এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসক।
৩। অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে এমন খাবার
ডুবো তেলে ভাজা খাবার বা যেকোনও ভাজাভুজি, পাঁঠার মাংস, প্রক্রিয়াজাত মাংসের খাবার যেমন পেপারনি, সসেজ, সালামি, বেকন ইত্যাদি, এছাড়া মাখন, পাম অয়েলের মতো তেলও অস্বাস্থ্যকর।
৪। এ ছাড়়া যা যা খাবেন না
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা থাকলে অ্যালকোহলও এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ তাতে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি প্যাকেটজাত খাবার, যাতে ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে, তা-ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়িয়ে দিতে পারে।