Advertisement
E-Paper

শুক্রাণু দুর্বল হয়ে যেতে পারে ভুল খাবারে, কোন কোন খাবার হতে পারে পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ

শুক্রাণুর সমস্যা পুরুষদের বন্ধ্যত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। অথচ এই সমস্যা নিয়ে কথা বলতে সহজ নন অনেকেই। তাই কোন কোন খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর সমস্যা, তা জানেন না অনেকেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:১১
শুক্রাণুর সমস্যা বা বন্ধ্যত্ব নিয়ে এখনও কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন অনেকে।

শুক্রাণুর সমস্যা বা বন্ধ্যত্ব নিয়ে এখনও কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন অনেকে। ছবি- সংগৃহীত

শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাস শুধু পুরুষ নয়, গোটা মানব সমাজেরই মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। সন্তান নিতে ইচ্ছুক অনেকেই চেয়েও সন্তান নিতে পারছেন না এই কারণে, মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু শুক্রাণুর সমস্যা বা বন্ধ্যত্ব নিয়ে এখনও কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন অনেকে। তাই ঠিক কেন এমন হয় তা নিয়েও রয়েছে সচেতনতার অভাব। পুরুষদের বন্ধ্যত্বের কারণ ঠিক কী, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও খাদ্যাভ্যাস যে এর পিছনে বড় ভূমিকা নিচ্ছে তা নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। দেখে নিন, কী কী খাবার পাতে থাকলে বাড়ে পুরুষদের বন্ধ্যত্বের আশঙ্কা—

১। প্রক্রিয়াজাত মাংস

প্রক্রিয়াজাত মাংস শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ। বেকন, সালামি থেকে হটডগ, বার্গার— এই সব ফাস্টফুডে এই ধরনের মাংস ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের খাবারের উপর করা একটি সমীক্ষা স্পষ্ট জানিয়েছে এই কথা। বিশেষত প্রক্রিয়াজাত রেড মিট এই বিষয়ে বেশি ক্ষতিকর বলে মত তাঁদের। মুরগির মাংসে অবশ্য এরকম কোনও ফল দেখা যায়নি। তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা।

২। অতিরিক্ত ফ্যাটসমৃদ্ধ দুধ

বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবাদি পশুকে স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিতে দেখা যায় অনেককে। এই ধরনের ওষুধের প্রভাব পড়ে দুধেও। ওষুধ দেওয়া গবাদি পশুর দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থ বা ফ্যাট থাকে অনেক বেশি। সম্প্রতি ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সি যুবকদের উপর করা একটি সমীক্ষা বলছে, এই ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য খেলে শুক্রাণুর চলাচল, গতি ও আকৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই দুধ কেনার আগে এই বিষয়টি ভাল করে জেনে নেওয়া উচিত।

প্রক্রিয়াজাত মাংস শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ।

প্রক্রিয়াজাত মাংস শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ। ছবি-প্রতীকী

৩। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক

শুধু খাদ্য নয়, বর্তমানে উপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য সংরক্ষণের জন্য যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয় সেগুলিও শুক্রাণুর সমস্যার জন্য মারাত্মক ভাবে দায়ী। সার ও কীটনাশকের প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। প্রায় সব শাক-সব্জিতেই এই ধরনের রাসায়নিক খাবারে মিশে থাকে। ফলে এই রাসায়নিক এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। জৈব সারে চাষ হয় ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না, এই ধরনের শাক-সব্জি খেলে কিছুটা উপকার মিলতে পারে।

Male infertility
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy