চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন খাওয়া ডেকে আনতে পারে বিপদ ছবি: সংগৃহীত
শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য বিভিন্ন রকমের ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়াই মুড়ি-মুড়কির মতো ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া খেয়ালখুশি মতো এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেলে হিতে বিপরীত হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। ভিটামিন-ডি এমনই একটি সাপ্লিমেন্ট।
ভিটামিন-ডি একটি স্নেহপদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন। মানুষের ত্বক রোদের সংস্পর্শে এলে শরীরে এই ভিটামিন উৎপন্ন হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, দুগ্ধজাত খাদ্য ও ডিমে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। দেহে ক্যালসিয়ামের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করতে ভিটামিন-ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন-ডি খুবই জরুরি। ভিটামিন-ডি’র অভাবে শরীরে অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে এই ভিটামিনের মাত্রা প্রয়োজনের থেকে বেশি হয়ে গেলেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি খেলে রক্তবাহে ক্যালসিয়াম জমা হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে বেড়ে যায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি। দেখা দিতে পারে হাইপারক্যালসিমিয়ার মতো রোগ। এই রোগে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দৈনিক ১০ থেকে ২০ মাইক্রোগ্রামের বেশি এই ভিটামিনের প্রয়োজন নেই।
অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি যাতে শরীরের ক্ষতি না করতে পারে তার জন্য বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় এই ভিটামিনের সঙ্গে ভিটামিন-কে খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন-ডি যেখানে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করে সেখানে ভিটামিন-কে হাড়ে ক্যালসিয়াম সঞ্চয়ের হার বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা হ্রাস পায়। হ্রাস পায় হৃদ্রোগের ঝুঁকিও। তবে ভিটামিন-কে নিয়মিত খেতে হলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy