গোলমরিচের যে ঝাঁঝ, তার মূল কারণ হল পিপেরিন নামের একটি উপাদান। গবেষণা বলছে এই পিপেরিন ক্যানসার রোধেও সক্ষম। তবে তার বাইরেও গোলমরিচের কিছু গুণ রয়েছে। রোজ যদি খাবারে গোলমরিচ খান, তবে তা থেকে কী কী উপকার হতে পারে জানেন কি?
গোলমরিচের উপকারিতা
হজমশক্তি বৃদ্ধি: গোলমরিচ হজমে সহায়ক এনজাইম এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসরণ যা খাবারকে ভাল ভাবে হজম করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমাতে পারে।
বিষমুক্ত করে: এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও ক্যারোটিনয়েডস ইত্যাদি। এগুলি শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে। যা ক্যান্সার-সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি প্রদাহ নাশকও। যা বাতের ব্যথা বা শরীরের অন্যান্য প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সহায়ক।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: গোলমরিচের বাইরের স্তরে অনেক রকম ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস থাকে যা ফ্যাট ভাঙতে এবং শরীরের বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সর্দি-কাশি নিরাময়: গোলমরিচ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা সর্দি, কাশি এবং শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। গরম চা বা মধুর সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: গোলমরিচে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: নিয়মিত গোলমরিচ খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয় এবং অ্যালঝাইমার্সের মতো স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা দূরে থাকে।
মনে রাখবেন
প্রতি দিন খাবারে পরিমিত হারে গোলমরিচ খাওয়াই যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত গোলমরিচ খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিক বা অন্যান্য হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর বলছেন দৈনিক ১/৪ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো বা ৪-৫টি গোলমরিচের দানা খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী।