Advertisement
E-Paper

‘ওয়ার্ক ফ্লো মিউজ়িক’ কী? বিশেষ এই ধরনের সঙ্গীত শুনলে কী উপকার হবে?

কাজের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ‘ওয়ার্ক ফ্লো মিউজ়িক’ কাজের গতি বাড়ায়, কাজ সংক্রান্ত চিন্তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতায় শান দেয়। এমনকি, অফিসে নানা রকম কথাবার্তা, টাইপ করার শব্দের মাঝেও মনঃসংযোগ অবিচল রাখতেও সাহায্য করে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০২
Work Flow Music

গান শুনতে শুনতে কাজ করেন? ছবি: সংগৃহীত।

সকালে ঘণ্টাখানেক রবিঠাকুরের গান না শুনলে দিনটা শুরু হতে চায় না মণিদীপার। জলখাবার তৈরি করতে করতে গান শুনলে মনটা ফুরফুরে হয়ে ওঠে। আবার, দিনরাত এক করে অরিজিৎ সিংহের গান শোনে মণিদীপার মেয়ে কণিকা। সকালে ব্রাশ করা থেকে সেই যে শুরু হয়, চলে রাত পর্যন্ত। মাঝেমধ্যে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়েও পড়ে সে। তা নিয়ে বকাঝকা করলে কণিকা জানায়, “ও সব তুমি বুঝবে না। গান শুনলে কাজে গতি আসে।”

সে কথা যে একেবারে অযৌক্তিক, তা নয়। গান শুনতে শুনতে কাজ করলে একঘেয়েমি কাটে, মনও ভাল থাকে। কাজের গতির সঙ্গে গানের লয়, ছন্দ যদি মিলে যায়, তা হলে তো কথাই নেই। মনোবিদেরাও এ বিষয়ে সহমত। গানের সঙ্গে যে উৎপাদনশীলতার যোগ রয়েছে, সেই সংক্রান্ত উল্লেখ রয়েছে দেশ-বিদেশের গবেষণাতেও। শুধু কি তা-ই? গান শুনলে স্মৃতিশক্তিও প্রখর হয়। তবে ‘প্লস ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যে কোনও ধরনের গানে তা হবে না।

কাজের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ‘ওয়ার্ক ফ্লো মিউজ়িক’ কাজের গতি বাড়ায়, কাজ সংক্রান্ত চিন্তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতায় শান দেয়। এমনকি, অফিসে নানা রকম কথাবার্তা, টাইপ করার শব্দের মাঝেও মনঃসংযোগ অবিচল রাখতেও সাহায্য করে। আমেরিকার একদল গবেষক এ বিষয়ে প্রায় ২০০ জনের উপর একটি সমীক্ষা করেছেন। দশ মিনিট ‘ওয়ার্ক ফ্লো মিউজ়িক’ শুনিয়ে লক্ষ করেছেন, তাঁদের কাজের গতি দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের গতিবিধি পরীক্ষা করার জন্য মনোবৈজ্ঞানিক নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে। যাঁরা গান শুনতে শুনতে কাজ করেছেন, তাঁদের কাজে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করেছেন গবেষকেরা। পাশপাশি, কাজ সংক্রান্ত উদ্বেগও যে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সে কথাও স্বীকার করেছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা।

‘ওয়ার্ক ফ্লো মিউজ়িক’ কী?

এই সঙ্গীতে কোনও কথা থাকে না। উল্টে, স্পষ্ট এক ধরনের ছন্দে আবর্তিত হয় ওয়ার্ক ফ্লো মিউজ়িক। খুব দ্রুত লয় থাকে না। ঘন ঘন ছন্দ বদল হলে কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মনঃসংযোগ যাতে নষ্ট না হয়, সেই কারণেই মূলত যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়। ধীর লয়ের সঙ্গীত এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। শব্দতরঙ্গ ৬ হাজার হার্ৎজ়ের নীচে থাকাই বাঞ্ছনীয়।

Work Flow Music Music and Mental Health Music and Productive Work
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy