এক কাপ গরম আদা চা খেলে ক্লান্তি কেটে যায় নিমেষে। মাথা ধরা হোক বা জ্বর জ্বর ভাব— এক চুমুক খেলেই চনমনে লাগে।
রাস্তার দোকানে গিয়ে আদা-চা চাইলে দেখতে পাবেন, হামানদিস্তায় খোসা-সহ আদা থেঁতো করে চায়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আবার যে কোনও হেঁশেলে রান্নার মশলা হিসাবে ব্যবহারের সময় আদার খোসা ছাড়িয়ে তা বেটে নেওয়া হয়।
আদা কি খোসা-সহ খাওয়া উচিত না কি খোসা ছাড়া? খোসায় কি বাড়তি কোনও পুষ্টিগুণ থাকে? বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ বীণা ভি বলছেন, ‘‘ আদার খোসা খাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই। তবে আদা টাটকা এবং খোসাটি পরিষ্কার হতে হবে। তবে, চাষে যে হেতু এখন রাসায়নিক সারের প্রয়োগ হয়, কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, তাই ভাল করে না ধুয়ে নিলে, স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।’’
আদার খোসার উপকারিতা
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আদার খোসাতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে মেলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার এবং নানা রকম যৌগ। প্রত্যেকটি উপাদানই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও আদার খোসা উপকারী। বীণা বলছেন,‘‘এতে থাকা প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে, রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।’’
সতর্কতা
· আদার খোসায় পচা ভাব, দাগ থাকলে সেটি বাদ দিতে হবে।
· চাষের কাজে রাসায়নিক প্রয়োগ হয়, যা খোসার গায়ে লেগে থাকে। জলে খুব ভাল করে রগড়ে ধুয়ে তার পর সেই আদা ব্যবহার করা দরকার।
· যদি মনে হয়, এত ধোয়াধুয়ি সম্ভব নয় সে ক্ষেত্রে খোসা বাদ দেওয়াই ভাল।
· স্মুদি, চা, স্যুপে খোসা-সহ আদা কুরিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।