শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই তা কী কী কারণে ঘটছে, তা জানার জন্য আমরা অনেক সময়ই খরচ করে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার করিয়ে থাকি। অথচ স্বাস্থ্যের অবস্থা কী, তা জানতে ত্বক, গলার স্বর, চুল কিংবা নখের দিকেও লক্ষ রাখা খুব জরুরি। ননখ স্বাস্থ্যকর হলে দেখতে হয় মসৃণ এবং নখের রংও থাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে নখ কিছুটা ভঙ্গুর হতেই পারে এবং ঔজ্জ্বল্যও হারাতে পারে ক্রমশ। কিন্তু বয়স বৃদ্ধি ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে নখের স্বাস্থ্য যে কোনও সময়ে বিগড়ে যেতেই পারে। নখের আকার, ধরন এবং বিশেষ করে রঙের দিকে বিশেষ করে নজর রাখা জরুরি।
নখের আকার ও রঙের পরিবর্তনগুলি কোন কোন রোগের ইঙ্গিত দেয়?
১. নখের স্বাভাবিক গঠন যখন বিগড়ে গিয়ে চামচের মতো দেখায়, তখন বুঝতে হবে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয়েছে।
২. অনেক সময় দেখা যায়, কোনও রকম আঘাত ছাড়াই চামড়া নখথেকে উঠে যাচ্ছে। সোরিয়াসিস (ত্বকের রোগ), ছত্রাকের সংক্রমণ, হাইপার থাইরয়েডিজ়মের কারণে কিন্তু এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. ভারী কিছু পড়েও যায়নি নখের উপর, নখে ব্যথাও নেই, কিন্তু নখের রং কালচে হয়ে গিয়েছে? তখন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, কিডনির সমস্যায় এমন হতে পারে। যকৃতের সমস্যাও হতে পারে এর কারণ।
৪. নখের রং ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে যাচ্ছে? এ ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। লিম্ফিডেমা (পরজীবী সংক্রান্ত এক ধরনের জটিলতা, কয়েকটি জেনেটিক ব্যাধিতেও দেখা যায়) নামক রোগে এমনটা হয়। এ ছাড়াও ফুসফুসের নানা সমস্যাতেও পায়ের নখের রং হলদে হয়ে যেতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তির সমস্যা হলেও পায়ের নখের রং ধীরে ধীরে হলুদ হয়। জনডিস হলেও তা-ই। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৫. নখের উপরে অনেক সময় সাদা ছোপ দেখতে পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। মানসিক আঘাত লাগলে, শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে কিংবা ছত্রাকের সংক্রমণ হলেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায় নখে।