গৃহের অভিলাস মানুষের চিরকালীন। বহুমুল্য ফ্ল্যাটের অধিকারী থেকে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ, যাদের অন্তত নিজস্ব একখানি গৃহ আছে। কোনও না কোনও কারণে তারা প্রায় সবাই অসুখী। উদ্বিগ্ন আর ভাগ্যাহত।পাঠক গন মানুষের এই অসুখী অবস্থার কারণ নানা দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়েই বিচার বা বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তু বিজ্ঞানের নিরিখে- গৃহ বিন্যাস বা তার আভন্তরীন সাজসজ্জায় স্রেফ। একটু পরিবর্তন বা রীতি অনুসরন করে চললেই মানুষ কিভাবে তার দুর্ভাগ্যকে অতিক্রম করে সৌভাগ্য লাভের অধিকারি হয়ে উঠতে পারে দেখে নেওয়া যাকঃ-
১। রান্নাঘর কখনোই উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিমে হবে না।
২। মুল শোবার ঘর সর্বদা দক্ষিণ-পশ্চিম বা দক্ষিণ দিকে হত্তয়া উচিত। কখনোই উত্তর-পূর্ব দিকে নয়। নতুন বিবাহিতদের শোবার ঘর দক্ষিণ-পূর্বদিকে হওয়া বাঞ্জনীয়।
৩। ঘরের সাথে অ্যাটাচড্ বাথ কখনোই দক্ষিণ-পশ্চিম বা উত্তর-পূর্বদিকে হওয়া উচিত নয়।
৪। সেফটি ট্যাঙ্ক কখনোই উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত নয়। পূর্ব দিকের মাঝখানে বা উত্তর দিকের মাঝখানে হওয়া উচত।
৫। কর্মস্থানে কাজ করার সময় দরজার দিকে পৃষ্ঠদেশ স্থাপন করে বসা অনুচিত। এতে কাজের ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বরং কর্মস্থলে এমন ভাবে বসা উচিত যাতে দরজা সর্বদাই দৃষ্ট থাকে।
৬। অধ্যয়নকক্ষে শিশুদের পড়ার টেবিল উত্তর-পূর্ব কোণে স্থাপন করে যদি তার উপর কোন ‘ক্রিস্টাল বোল’ রাখা যায় তাহলে শিশুদের অধ্যয়নের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
৭। গৃহের মেঝেতে গালিচা বিছালে তা আয়তাকার বা চৌকাকৃতি হওয়াই বাঞ্জনীয়। ডিম্বাকৃতি বা গোল গালিচা গৃহের শোভা বৃদ্ধির পক্ষে অনুকুল নয়।
৮। গৃহে দেয়ালঘড়ি কখনো বন্ধ থাকা উচিত নয়। এমনকি ত্রুটিপূর্ন সময় প্রদানকারী ঘড়িও গৃহে রাখা অকর্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy