সকল দেবতাই নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করছিলেন। এইভাবে নির্নয় হচ্ছিল না। অতএব ঠিক হল যে দেবতা ত্রিলোক পরিক্রমা করে এই স্থানে প্রথমে পৌঁছাবে সেই শ্রেষ্ঠ এবং তার পুজো প্রথম করা হবে। এই শুনে সকল দেবতা নিজ নিজ বাহনে চড়ে ত্রিলোক পরিক্রমা করতে চলে গেলেন। কিন্তু ভারী শরীর সম্পন্ন গণেশ নিজ বাহন মুষিক (ইঁদুর) সহ রয়ে গেলেন কিন্তু তিনি সাহস হারালেন না। তিনি ওখান থেকে মাতা পিতা (শিব-পার্বতী) যেখানে ছিলেন সেখানে গেলেন। পিতা-মাতাকে তিনবার পরিক্রমা করে সভাপতির আসনে গিয়ে বসে পড়লেন। সর্বপ্রথমে কার্তিক ময়ূরে চড়ে ত্রিলোক পরিক্রমা করে এসে সভাপতির আসনে গণেশকে বসে বসে লাড্ডু খেতে দেখে ভীষণ ক্রুদ্ধ হলেন এবং প্রহার করে গণেশের একটি দাঁত ভেঙে দিলেন। তখন থেকে গণেশ একদন্ত। তৎপশ্চাৎ গণেশ সকল দেবতার সামনে তর্ক দিলেন, ত্রিলোকের সকল সুখ সম্পদ মাতা-পিতার চরণে বিরাজমান। মাতা-পিতার চরণের সেবাই সর্বোত্তম। যারা এদের চরণ ছেড়ে ত্রিলোক ভ্রমণ করে। তাদের সকল পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যায়। বস্তুতঃ গণেশের বৈশিষ্ট্য মানুষ গ্রহণ করলে সেও তার সমাজে প্রথম পূজ্য হয়ে যাবে। ভগবান গণেশের বিশাল মস্তক আমাদের লাভদায়ী বিচার গ্রহণ করার প্রেরনা দেয়। গণেশের বড় বড় কান আমাদের উত্তম বিচার শোনার প্রেরনা দেয়। লম্বা শুঁড় আমাদের বিপদের সংকেত বোঝার প্রেরণা দেয়। এক দাঁত বচনশুদ্ধতা এবং ছোট চোখ মগ্নতার সংকেত দেয়। মোটা পেট পাচনশক্তি এবং সহনশীলতার প্রতিক। বিঘ্নের বিনাশ হেতু হাতে পরশু এবং মানব কল্যানের জন্য বরদমুদ্রা ধারন করে আছেন গণেশ। এই সকল গুন অন্য দেবতাদের নেই। সেই থেকে গণেশ অগ্রপূজ্য হয়ে উঠল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy