Advertisement
E-Paper

একজন জাতক বা জাতিকার জন্ম ছকে কী কী দোষ থাকলে ঋণ নিতে হয় জেনে নিন

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে একজন জাতক বা জাতিকাকে কখন জীবনে ঋণ নিতে হতে পারে দেখে নেওয়া যাক --

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৪২

ঋণ বন্ধুত্বকে এবং যে কোনও সম্পর্ককে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। কেউ যদি সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করে, তাহলে ঋণদাতা এবং ঋণ গ্রহীতার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। এর ফলে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে এবং ঋণদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে, এমনকি তাদের পরিবারের লোকেদের মধ্যেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে।

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে একজন জাতক বা জাতিকাকে কখন জীবনে ঋণ নিতে হতে পারে দেখে নেওয়া যাক --

১। জন্মছকে ধনপতি গ্রহ যদি ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ-ভাবের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত হয়।
২। কর্মভারের অধিপতি গ্রহ নীচস্থ হয়ে বুধ, রবি ও কেতু-যুক্ত হলে ঋণগ্রস্ত হতে পারে।
৩। সপ্তম-ভাবে কেতু অবস্থান করে কোনও শুভ গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট না হলে স্বামী বা স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে ঋণ নিতে হয়।
৪। দ্বাদশ-ভাবে রাহু ও শুক্র অবস্থান করলে ঋণ যোগ তৈরি হয়।
৫। শনি দ্বিতীয়-স্থানে অবস্থিত হলে বা শনি ওই স্থানে দৃষ্টি দিলে জাতক-জাতিকা ঋণগ্রস্ত হয় (ধনু ও মকর লগ্নের ক্ষেত্রে এই যোগ কার্যকর হয় না)।
৬। শনির সাড়ে সাতি দশায় মানুষ প্রচুর ঋণগ্রস্ত হয়।
৭। জন্মকুণ্ডলীতে মহাপদ্ম কালসর্প দোষ ( ষষ্ঠে রাহু, দ্বাদশে কেতু অবস্থান করলে) থাকলে মানুষ ক্রমশই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে।

কারা ঋণ শোধ করবে এবং কারা শোধ করবে না জেনে নিন -

ষষ্টভাবের সাবলর্ড বা নক্ষত্রের অধিপতি চতুর্থ, ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ-ভাবের নির্দেশক হলে জাতক ঋণ পরিশোধ করবে। জাতকের ছকে যদি গুরুচন্ডাল দোষ বা পঞ্চম-পতি নীচস্থ রাহু বা বুধের সঙ্গে যুক্ত হয় তবে তার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ করবে না। যাদের জন্ম ছকে এই রকম ঋণ যোগ আছে এবং যারা বর্তমানে ঋণ সমস্যায় জর্জরিত তারা যদি নিজেদের ঋণ যোগ সমস্যার প্রতিকার করতে না পারে তাহলে সন্তানের জন্মছক বিচার করে যদি এই সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রতিকার করে নেবেন।

l astrology problems of life
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy