বিবাহে ধান, দূর্বা, পান, সুপারি, মাছ ব্যবহার করার কারণ, বস্তুগুলি হল বংশবৃদ্ধির প্রতীক। ধান, পান ও সুপারির ফলন হয় প্রচুর। দূর্বা শুকিয়ে গেলেও মরে না, জল পেলে বেঁচে ওঠে এবং সহজে বংশ বিস্তার করে। দূর্বাকে দীর্ঘজীবনের, আবার ধানকে ঐশ্বর্য্যের প্রতীক রূপে গণ্য করা হয়। মাছের ডিম থেকে অসংখ্য পোনা জন্মায়। সুতরাং বিবাহের মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে এগুলোর ব্যবহারে ভাবী দাম্পত্য জীবনকে সফল ও ফলবানরূপে দেখতে চায়, তারই কামনাবাসনার প্রতিফলন এতে রয়েছে।
বিবাহ তো বটেই, সকল মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠানে পান-সুপারির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার চলে আসছে। মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর‘চণ্ডীমঙ্গলে’ ধনপতি সওদাগরের বিবাহ উপলক্ষে পান-সুপারির (পান গুয়া) উল্লেখ রয়েছে-
‘তৈল সিন্দুর পান গুয়া বাটা করি গন্ধ চূয়া
আম্র দাড়িম্ব পাকা কাঁচা।
পাটে ভরি নিল খই ঘড়া ভরি ঘৃত দই
সাজয়্যা সুরঙ্গ নিল বাছা’।
আরও পড়ুন: জন্মছকে চন্দ্র খারাপ থাকলে অকালে মাতৃবিয়োগ ঘটে সবচেয়ে বেশি
বশীকরণ ক্রিয়া সম্পাদনের উপকরণ হিসেবে পান সুপারির প্রয়োগ দেখা যায়। বলা হয়, পানের রস কামোত্তেজক এবং কাচা সুপারি নেশা ধরায়।
(চলতি বাংলা বছরে বিয়ের শুভ দিন কবে দেখে নিন আমাদের নতুন বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy