ঘর পরিষ্কার রাখার উদ্দেশ্যে আমরা প্রায় সকলেই ঘর ঝাড়পোঁছ করে থাকি। ঘর মোছা আপাতদৃষ্টিতে ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার একটা মাধ্যম মনে হলেও এর আরও নানা দিক রয়েছে। আপনি কী ভাবে ঘর মুছছেন সেটির উপর যেমন ঘর কতটা পরিষ্কার হবে নির্ভর করে, তেমনই ভাগ্যের উপরও এর প্রভাব রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র মতে, ঘর মোছা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এতে বাস্তুর হালহকিকত কেমন থাকবে সেটা নির্ভর করে। এই কাজে কোনও ভুল হলে ভাগ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। আমরা অনেকে নিজেদের অজান্তেই ঘর মোছার সময় কিছু ভুল করে থাকি। সেগুলি করা মোটেও ভাল কাজ নয়। এতে আমাদেরই ক্ষতি হয়। ঘর মোছার সময় কোন জিনিসগুলি করা থেকে বিরত থাকতে হবে জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
ঘর মোছার ক্ষেত্রে কী কী ভুল এড়িয়ে চলতে হবে?
১. কোন সময় ঘর মোছা হচ্ছে সেটির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বহু মানুষই অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যাবেলা ঘর মোছেন। এর ফলে যে কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয় ধারণা করতে পারবেন না। ঘর সর্বদা সূর্যের আলো থাকতে থাকতে মোছা উচিত। সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে কখনও ঘর মোছা উচিত নয়। বিশেষ দরকার না পড়লে সূর্য অস্ত যাওয়ার পরবর্তী সময়ে ঘর ঝাড় দেওয়া ও মোছা থেকে বিরত থাকাই ভাল হবে বলে করছে বাস্তুশাস্ত্র।
২. বাড়িতে থাকা নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ কমানোর জন্য ঘর মোছার জলে সামান্য নুন মিশিয়ে ঘর মোছার নির্দেশ দিচ্ছেন বাস্তুবিদেরা। এতে বাস্তুর মঙ্গল হয়। নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ কমে গিয়ে পজ়িটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তবে বৃহস্পতিবার এবং রবিবার এই কাজ করা যাবে না।
আরও পড়ুন:
৩. কোন দিক থেকে ঘর মোছা শুরু করছেন সেটির উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। ঘর সর্বদা বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে মোছা শুরু করা উচিত এবং দক্ষিণ-পূর্ব কোণে গিয়ে শেষ করা উচিত। এতে বাস্তুর মঙ্গলসাধন হয়। ঘর মোছার পর সেই জল ঘরের ভিতর দীর্ঘ ক্ষণ রেখে দেওয়া উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া উচিত।
৪. বাস্তুমতে, বৃহস্পতিবার দিনটি ঘর ঝাড়া দেওয়া ও মোছা উচিত নয়। এতে মা লক্ষ্মী কুপিত হন। বাড়ি ছেড়ে চলে যান। অর্থভাগ্যের উপরও নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। তাই এই দিন ঘর না মোছাই ভাল হবে। তবে ঘরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য ঘর মুছতে হলেও কেবল জল দিয়ে ঘর মোছা যেতে পারে। তাতে কিছু মেশানো যাবে না।