অনেক মানুষই মুক্তোর গয়না পরতে খুব পছন্দ করেন। আংটি হোক বা কানের দুল, সাদা রঙের এই রত্ন সাজকে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। মুক্তোর আংটি পরার নানা গুণাগুণ রয়েছে। তবে জ্যোতিষীর পরামর্শ না নিয়ে যে কেউ এই আংটি পরলে ভাল ফল না-ও পেতে পারেন। বদলে হিতে বিপরীত হতে পারে। শাস্ত্রমতে, মুক্তো চাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই কোষ্ঠীতে চাঁদ খারাপ অবস্থানে থাকলে মুক্তোধারণের মাধ্যমে তার কুপ্রভাব থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়। কথিত রয়েছে, মুক্তো পরলে নাকি মাথাও ঠান্ডা হয়। এ ছাড়াও মুক্তোর আংটি পরার আর কী কী উপকারিতা রয়েছে জেনে নিন। মুক্তোর আংটি কারা পরতে পারেন আর সেটি পরার নিয়মগুলি কী কী সেটিরও হদিস দেওয়া থাকল।
আরও পড়ুন:
কোন কোন রাশির লোকেরা মুক্তোর আংটি পরতে পারেন?
জন্মপত্রিকায় চাঁদ খারাপ অবস্থানে থাকলে মুক্তোর আংটি পরার ফলে ভাল ফল পাওয়া যায়। বাজারে নানা রঙের মুক্তো পাওয়া যায়, তবে শাস্ত্রমতে, সাদা রঙের মুক্তো পরলেই সবচেয়ে বেশি ভাল ফল পাওয়া যায়। তবে যে কেউ চাইলেই মুক্তো পরে নিলে হবে না। উপকার মিলবে না। জ্যোতিষমতে, চারটি রাশির জাতক-জাতিকারা মুক্তো পরতে পারেন। সেই রাশিগুলি হল মেষ, কর্কট, বৃশ্চিক, মীন। কিন্তু জ্যোতিষীর পরামর্শ ছাড়া কোনও রত্ন ধারণ না করাই ভাল। মকর, কুম্ভ, বৃষ ও তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের মুক্তো পরা উচিত নয়। কারণ এই রাশিগুলির সঙ্গে চন্দ্রের শত্রুতা রয়েছে বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন:
মুক্তোর আংটি পরার জন্য কী কী নিয়ম মানতে হয়?
১. কনিষ্ঠা বা কড়ে আঙুল মুক্তো পরার জন্য আদর্শ। ডান হাতের কনিষ্ঠায় মুক্তোর আংটি পরতে হয়। তবে আপনি যদি বাঁহাতি হন, তা হলে বাঁ হাতের কড়ে আঙুলে এই আংটি পরা যেতে পারে।
২. মুক্তোর জন্য উপযুক্ত ধাতু হল রুপো। রুপোবাঁধানো মুক্তোর আংটি পরলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।
৩. সোমবার দিনটি মুক্তোর আংটি ধারণের জন্য উপযুক্ত। যেই সোমবারে পূর্ণিমা পড়ে, সেই সোমবারে যদি মুক্তোর আংটি পরা যায় তা হলে জীবন মঙ্গলময় হয়ে ওঠে। এ ছাড়া, শুক্লপক্ষের সোমবারেও মুক্তোর আংটি পরা যেতে পারে।
৪. মুক্তোর আংটি পরার আগে সেটিকে শোধন করে নেওয়া জরুরি। গঙ্গাজল বা কাঁচা দুধে ১০ মিনিট আংটি ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ১০৮ বার ‘ওম চন্দ্রমায় নমহঃ’ মন্ত্র জপ করে আংটি পরে নিন।
আরও পড়ুন:
মুক্তোর আংটি পরার গুণাগুণ কী কী?
১. মুক্তোর আংটি পরলে চঞ্চলতা কমে, মন শান্ত হয়। মন থেকে খারাপ চিন্তা দূর হয়।
২. কোষ্ঠীতে চাঁদের অবস্থান উন্নত হয়। চাঁদের সুপ্রভাব লাভ হয়।
৩. মনের একাগ্রতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
৪. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।
৫. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। জীবন শান্ত ও সমৃদ্ধ হয়। নেগেটিভ শক্তির হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।