হিন্দু ধর্মবিশ্বাসীদের হাতে ও পায়ে রংবেরঙের সুতো বাঁধার প্রচলনটা বেশ পরিচিত। লাল, কমলা, হলুদ, কালো— নানা রঙের সুতো অনেকের হাতেই দেখা যায়।বিপত্তারিণী বা ষষ্ঠী পুজোর তাগা আমরা অনেকের হাতেই দেখতে পাই। আবার কখনও নানা দেবদেবীর পায়ে ছোঁয়ানো সুতোও পরতে দেখা যায়। এই সুতো বাঁধার পেছনে আসল কারণটা ঠিক কি জানেন? এই এক একটি রঙের সুতো এক এক রকম ফল দেয়। সাদা রঙের সুতোর ফল এক, আবার লাল সুতোর কাজ অন্য রকম।
দেখে নিই কোন রঙের সুতোর ফল কী—
লাল সুতো: বেশির ভাগ মন্দিরেই ঠাকুরের আশির্বাদ-সহ লাল সুতো বাঁধার রেওয়াজ আছে। লাল সুতো যদি হাতে পরা যায়, তা হলে তিনি যেমন দেবদেবীর আশীর্বাদ পান, আবার অশুভ কোনও শক্তি তাঁর ধারেকাছে আসতে পারে না। একই সঙ্গে পারিবারিক অশান্তি দূর হয়, আর্থিক উন্নতি ঘটে, রোগ ব্যধির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পুরুষ এবং অবিবাহিত মহিলারা ডান হাতে ও বিবাহিতরা বাঁ হাতে শুক্লা চতুর্দশীর দিন এই সুতো ঠাকুরের পায়ে ছুঁইয়ে হতে বাঁধলে নানা রকম উপকার পাবেন।
কমলা সুতো: পুর্ব ভারতে ঠিক সে রকম ভাবে কমলা সুতো বাঁধার প্রচলন নেই, তবে যদি কমলা সুতো বাঁধা হয়, তা হলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। উত্তর ভারতের মানুষরা মানেন যে, এই কমলা রঙের সুতো যদি কবজিতে বাঁধা হয়, তা হলে সামাজিক প্রতিপত্তির সঙ্গে মানুষের কাছে জনপ্রিয়তাও বাড়ে।
হলুদ সুতো: যে কোনো শুভ কাজে হলুদ রঙের ব্যবহারের কথা আমরা সকলেই জানি। হলুদ সুতো কব্জিতে বাঁধলে সৌভাগ্য বৃদ্ধির সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে বা সব ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটে। মনের ইচ্ছা পূরণ ও আয়ু বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে হলুদ রঙের সুতো।
আরও পড়ুন: গরম কবে কমবে? কী বলছে জ্যোতিষ
কালো সুতো: কব্জিতে বা পায়ে কালো সুতো বাঁধলে অশুভ শক্তি ও নজর দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যে কোনও দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি এবং মানসিক শান্তি মেলে। পরিবারের সুখ বজায় থাকে। কালো সুতো বাঁধলে বিপদের আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy