বাড়িতে সুখশান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন শুভ শক্তির। বস্তুর শক্তি পজ়িটিভ না হলে সে বাড়িতে শান্তি ও সমৃদ্ধি না থাকাই স্বাভাবিক। আমাদের অজান্তেই করে ফেলা কিছু ভুলের জন্য আমাদের বাড়ির পরিবেশ নষ্ট হয়। এর ফলও আমাদেরই ভোগ করতে হয়। জীবনের নানা ক্ষেত্রে কুপ্রভাবের সম্মুখীন হই এবং যে কোনও কাজে বাধা লেগেই থাকে। শীতকালে তাপমাত্রা কুড়ির নীচে নামতে না নামতেই গৃহস্থ বাড়িতে বেরিয়ে যায় ঘরে পরার চটি। পাথরের মেঝে হোক বা সিমেন্ট, শীতকালে মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে পায়ে চটি পরে ঘরের সব প্রান্ত ঘুরে বেড়ানো উচিত নয় বলে জানাচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র। এতে বাস্তুর উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। বাড়ির কোন স্থানগুলিতে চটি পায়ে যাওয়া যাবে না জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
বাড়ির কোন স্থানে চটি পায়ে যাওয়া যাবে না?
মন্দির: বাড়ির যে স্থানে ঠাকুর রাখা হয় বা ঠাকুরঘরে কখনও চটি পরে প্রবেশ করা উচিত নয়। সেই স্থানের আশপাশেও চটি পায়ে যাওয়া নিষেধ। এতে দেব-দেবীরা রুষ্ট হন। জীবনে কষ্টের অভাব হয় না। সংসারে আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। বাড়ির সদস্যদের মধ্যে মিলমিশ থাকে না।
রান্নাঘর: বাড়ির রান্নাঘরকে দেবী অন্নপূর্ণার প্রতীক মনে করা হয়। সেই স্থানে আমাদের খাবার রান্না হয়। তাই রান্নাঘরেও চটি পায়ে যাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। এতে দেবী অন্নপূর্ণা রুষ্ট হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। বহু চেষ্টা করেও জীবনে সমৃদ্ধি লাভ করা যায় না।
আরও পড়ুন:
সিন্দুকের কাছে: আমাদের সমস্ত মূল্যবান জিনিস, গয়না, টাকাপয়সা প্রভৃতি যে স্থানে রাখা হয়, অর্থাৎ সিন্দুকের কাছে কখনও চটি পায়ে যাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র। পায়ে জুতো রেখে সেটিকে ধরাও উচিত নয়। সিন্দুকে মা লক্ষ্মীর বাস থাকে। সেখানে জুতো পরে গেলে বা সেটিকে স্পর্শ করলে মা লক্ষ্মীকে অসম্মান করা হবে বলে মনে করা হয়। এতে সম্পদহানির আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
ভাঁড়ার: শহরের দিকের বাড়িতে সাধারণত ভাঁড়ারঘর দেখা যায় না। তবে গ্রামের দিকে এর চল রয়েছে। ভাঁড়ার সেই ঘরকেই বলা হয় যেখানে খাদ্যবস্তু, অর্থাৎ চাল, ডাল প্রভৃতি মজুত রাখা হয়। সেই স্থানে কখনও জুতো পরে প্রবেশ করা উচিত নয়। ভাঁড়ার ঘর না থাকলেও, বাড়ির যে স্থানে খাদ্যবস্তু মজুত রাখেন, সেখানে কখনও জুতো পরে প্রবেশ করা উচিত নয়।