নাক হল মানব চরিত্রের বা মানবদেহের সৌন্দর্য রক্ষার একটি বিশেষ অঙ্গ। মানবের সৌন্দর্য রক্ষা করে নাক। এই নাকেই অবস্থান করেন প্রেমের দেবতা শুক্রাচার্য। শুক্রাচার্যের শুভ প্রভাব থাকলে, প্রেমের গতি বৃদ্ধি পাবে আর অশুভ প্রভাব হলে ভোগ ও লালসা। লালসার মাধ্যমে জীবন অর্ধপতনে পতিত হতে পারে।
এখন দেখে নেওয়া যাক নাকের গঠন অনুসারে মানব চরিত্র কেমন হতে পারে—
যে সকল ব্যক্তির নাকের বর্ণ মুখমণ্ডলের বর্ণ অপেক্ষা গাঢ়, অর্থাৎ সমস্ত মুখের বর্ণ এক আর নাকের বর্ণটি একটু গাঢ়, বা হতে পারে একটু লালচে বর্ণ বিশিষ্ট, তারা প্রচুর পরিশ্রম করে তার পরে জীবনে প্রতিষ্ঠা পাবে। অর্থাৎ জীবনে ঘরে বসে ভাগ্যের দোহাই দিলে চলবে না। যতদিন কর্ম করতে পারবে, ততদিন ফললাভ করবে। অবশ্য এদের জীবনে বহু দুঃখ কষ্ট ও জরা-ব্যাধির সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়। তবে শত কষ্টের মধ্যেও এরা এদের চরিত্র হারায় না। দাম্পত্য জীবনে সুখী হয় এবং সন্তানরা জগতের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ায়। তবে শেষ জীবনে এরা জীবন সঙ্গী ও সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-পরিজন কারওকেই কাছে পায় না।
যে সকল ব্যক্তির নাকের রং হালকা পীত বর্ণের বা পীত আভাযুক্ত বা নাকের উপর পীত শিরা জেগে থাকে, এই ধরনের ব্যক্তিরা অল্প শ্রমেই ধনী হয়। অবশ্য এদের জীবন আলস্যে ভরা থাকে।
আরও পড়ুন: শারীরিক গঠন দেখে জেনে নিন আপনার প্রেমিকা কেমন হবে
যে সকল জাত ব্যক্তির নাক অপেক্ষাকৃত ছোট এবং হালকা সবুজাভ বা কালচে শিরা দেখা যায়, তারা সাধারণত খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির হয়ে থাকে। সমাজের ছোট কাজগুলি এদের করতে দেখা যায়। জীবনব্যাপী শ্রম দুঃখ, অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে কাটালেও এদের দাম্পত্য জীবন মাধুর্যে ভরে থাকে। এরা সৎ, চরিত্রবান, নির্ভীক ও পরিশ্রমী হয়ে থাকে।
শ্যাম বর্ণ যুক্ত নাক অর্থাৎ নাকের বর্ণ শ্যামলা অথচ মানুষটি ফর্সা হলে, এদের জীবনে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের নাক শ্যামলা কিন্তু মানুষটি ফর্সা, তাদের কর্ম, অর্থ, মোক্ষ ও সাধনভজন জগতে এরা পদার্পন করতে পারলেই যেন জীবনকে সুখী মনে করে। এদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধন সম্পদ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরা হয় প্রচণ্ড মিশুকে ও অতিথিপরায়ণ। নিজে খাওয়ার চেয়ে অপরকে খাওয়াতে এরা বেশি তৃপ্তি লাভ করে।
যদি কোনও ব্যক্তির নাকের অগ্রভাগ একটু বাঁকা বা কর্কশ হয়, তাদের জীবনে দুঃখ কষ্টের সীমা থাকে না। যদিও এরা অত্যন্ত চালাক, চতুর বা শয়তান হয়ে থাকে। জীবনের কোনও সময় আইনি সমস্যায় জড়িত হয়ে গিয়ে কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে। এসব সত্ত্বেও এদের মন, সুর সঙ্গীত, ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা ও অপরের উপকারের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরা লোকচক্ষের আড়ালে থেকে অপরের ক্ষতি বা আঘাত করে। এটাই এদের পেশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy