বাস্তুশাস্ত্রে বাস্তুনাগের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। এই প্রসঙ্গে জ্যোতিষে অনেক তথ্যই আছে।
তথ্যগুলি সম্পর্ক জেনে নেওযা যাক-
১। বাস্তুনাগের মাথায় গৃহ বা বাড়ি তৈরি করলে, গৃহপ্রবেশের পরে বাড়ির মালিকের নানাপ্রকার দুর্দশা শুরু হয়ে যায়। মৃত্যুতুল্য পীড়া হয়, যমে মানুষে টানাটানির পরে বাড়ির মালিকের মৃ্ত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
২। বাস্তুনাগের পিঠে যদি গৃহ তৈরি হয়, তা হলে পরিবারের প্রিয়জন যেমন স্ত্রী ও সন্তানের পক্ষে বিশেষ অমঙ্গলজনক হয়।
৩। বাস্তুনাগের পুচ্ছদেশে গৃহ তৈরি করলে নানা প্রকার অসুবিধা দেখা দেয়। প্রথমত গচ্ছিত অর্থ নষ্ট হয় এবং ভুল পথে চলে বা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বহুভাবে বিপুল অর্থহানি হয়।
৪। বাস্তুনাগের ক্রোড়দেশে বাড়ি তৈরি করলে বাড়ির মালিকের নানাভাবে শুভ হয়। যেমন আগেকার বাড়িতে যে অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল, তার থেকে দিনে দিনে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সম্পত্তি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। বাড়ির মালিকের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে থাকে।
প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্রবিদদের মতে ভাদ্র মাস থেকে তিন মাস পর পর নাগদেবতা পূর্ব দিকে মস্তক রেখে উত্তর দিকে পৃষ্ঠদেশ রেখে এবং পশ্চিমে পুচ্ছভাগ রেখে শয়ন করেন।
আরও পড়ুন: প্রেম ঘটিত বিবাহে সাফল্য পেতে মেনে চলুন এই টোটকাগুলি
বিভিন্ন মাসে বাস্তুনাগের অবস্থানগত পরিবর্তন হয়। যেমন জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে বাস্তুনাগের মাথা থাকে উত্তর দিকে। আবার বৈশাখ, ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে মাথা থাকে পশ্চিম দিকে।
৫। নাগদেবতার শয়নের কালে যদি গৃহ প্রস্তুত বা নির্মাণ শুরু করা হয়, তা হলে ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে সিংহে (দক্ষিণ দিক) তা বিশেষ শুভ।
অগ্রহায়ণ, পৌষ ও মাঘ মাসে বৃষ (পশ্চিম দিক) গৃহ নির্মাণের পক্ষে শুভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy