Advertisement
E-Paper

বাস্তুদোষ ও প্রতিকার

শ্রী পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০০:০৫

যে কোনও বাড়ি, ফ্ল্যাট, অট্টালিকা অথবা কলকারখানা সম্পূর্নরূপে বাস্তুনীতি অনুসরণ করে তৈরি করা অত্যন্ত শক্ত। নির্মাণ কার্যের একেবারে গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত যদি অত্যন্ত সতর্ক হয়ে বাস্তুনীতি মেনে চলা যায়, তা হলেই তা সম্পূর্নরূপে বাস্তুসম্মত বাড়ি হয়ে উঠতে পারে। বাস্তু মেনে বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি না করা হলে তাতে বাস্তুদোষ রয়ে যায়। বাস্তুদোষ হলেও অযথা ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাস্তুশাস্ত্রীরা সেই সব দোষ কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিকারের ব্যবস্থাও উল্লেখ করেছেন।

বাস্তুদোষকে মোটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।

১। প্রাথমিক দোষ। ২। গৌণ দোষ।

প্রাথমিক দোষঃ----

অনেক সময়ই কোনও বাড়ি তৈরির সময় কিছু না কিছু দোষ নিয়ে তৈরি হয়।

ক। দিকমূল জমিঃ- যে জমির দুই প্রান্ত চৌম্বক অক্ষের (উত্তর-দক্ষিণ)সমান্তরাল নয়, তাকে দিকমূল জমি বলে। এ রকম জমি পরিহার করা উচিত।

ক। শল্যদোষঃ- কোনও জমির মাটির ত্রুটিকে বলে শল্যদোষ। এই শল্যদোষ হল কোনও জমির প্রাথমিক দোষ। কাজেই শল্যদোষ সংশোধন অবশ্যই করা উচিত। এই দোষ কাটাতে হলে সম্পূর্ণ জমি ২ মিটার পর্যন্ত খুঁড়ে সেই মাটি সরিয়ে ফেলতে হবে। তারপর ভাল মাটি দিয়ে গর্তটি ভরাট করা উচিত। দোষটি দূরীভূত করা সম্ভব।

বিঃ দ্রঃ- বাস্তুশাস্ত্রের কোনও জাত নেই। বাস্তু হল স্থাপত্যের কলা ও বিজ্ঞান। বাস্তু যে মানবে ফল তারই। কারণ বাস্তু উপদেষ্টা বিশ্বকর্মা বলেছেন, এ শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy