যদি দেখা যায় সাফল্যরেখা চন্দ্রের স্থান বা চন্দ্রের উপর থেকে (চন্দ্রের বেস থেকে ওঠা সাফল্যের রেখার কথা বলা হচ্ছে না, আগেই এর সম্বন্ধে বলা হয়েছে) উঠে রবির মাউন্টে বা রবির স্থানে উপনীত হয়েছে, সেই সব জাতকের উপর বাবা-মা বা পারিবারিক প্রভাব সে ভাবে কাজ করে না। শুধু তাই নয়, এঁদের মধ্যে অনেকে পারিবারিক দায়িত্ব সে ভাবে পালন করেন না। এঁরা ছোটোবেলা থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এঁরা বিপরীত লিঙ্গের থেকে বিশেষ সাহায্য পেয়ে থাকেন। জাতক পুরুষ হলে চাকরিজীবী মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়ে থাকে। জনগণের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপর এঁদের সাফল্য পুরোপুরি নির্ভরশীল। চাকরি বা ব্যবসা যা-ই হোক না কেন, তার সঙ্গে সরাসরি জনগণের যোগ থাকবেই। এঁরা কিছুটা স্বেচ্ছাচারী জীবন কাটায়।
আর এক ধরনের সাফল্যরেখা, যেটা চন্দ্রের ক্ষেত্র থেকে উঠে কিছুটা গিয়ে শিরোরেখাকে না ছুঁয়ে রবির দিকে মুখ করে থেমে যায়, তা হলে এঁদের জীবনে হঠাৎ করে ২৭ বছরের আগেই কিছু একটা সাফল্য এসে আর সারা জীবন কোনও ভাবেই সে রকম সাফল্যের মুখ আর দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: হাতের এই সাফল্য রেখাই বলে দেবে আপনি জীবনে কতটা সফল হবেন (দ্বিতীয় অংশ)
আর এই সাফল্যরেখা যদি শিরোরেখাকে স্পর্শ করে বা শিরোরেখাকে ছুঁয়ে থেমে যায়, ৩৫ বছরের মধ্যে অর্থ ও সাফল্য লাভ হয়। এঁরা ব্যাক্তিগত জীবনে কৌতুকপ্রবণ হয়ে থাকেন।
করতলে মঙ্গলের ক্ষেত্র (বুধের ক্ষেত্রের নীচে) থেকে কোনও সাফল্যেররেখা এই ভাবে যদি রবির মঞ্চে উপস্থিত হয়, এই রেখা বোঝায়, অনেক কষ্ট ও কঠোর পরিশ্রমের পর, একটু বেশি বয়সে প্রায় ৩৫ বছরের কাছাকাছি সময়ে সাফল্য আসে। এঁরা নিজের চেষ্টায়, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের জোরে উন্নতি লাভ করে। এঁরা মাটির কাছাকাছি থাকে এবং সাধারণ জীবনযাপনে বিশ্বাসী হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy