হাত দেখে যেমন ভবিষ্যৎ বলা যায়, তেমনই মুখ দেখেও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। মুখ দেখে চরিত্র বলাও একটা আর্ট। ইংরেজিতে এই বিদ্যাকে ফিজিওগনমি বলে। বিষয়টি অধ্যয়ন করা বেশ কঠিন। এখানে একেবারে প্রাথমিক ভাবে মুখ দেখে চরিত্র চেনার কিছু ক্লু দিয়ে দেওয়া হল—
(১) যাদের বড় গোল চোখ: এরা মূলত বিপরীত লিঙ্গের প্রতি খুব বেশী আগ্রহী ও আকৃষ্ট হয়। এরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান বা বুদ্ধিমতি, আবেগপ্রবণ, কল্পনাপ্রবণ ও স্নেহপ্রবণ হয়। আর যাদের চোখের জায়গাট বেশ বড়, তারা হয় সত্, নির্দোষ ও সরল প্রকৃতির। যাদের চোখ আধবোজা অবস্থায় থাকে তারা খুব অশান্ত ও খুব পরিবর্তনশীল মনের হয়।
(২) ছোট চোখ: এরা তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণশীল, ধূর্ত, অপরের অনিষ্টকারী ও ঈর্ষান্বিত প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা অবস্থা বুঝে যে কোনও ঘটনা থেকে অন্যায় সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। এরা ভয়ানক গোপনচারী। এদের পেট থেকে কথা বের করা বেশ কঠিন।
(৩) যাদের চোখ অনেকটা ঘুমন্ত মানুষের মতো বা চোখ বুজে আসছে বলে মনে হয়, এই জাতীয় চোখের অধিকারীদের স্মৃতিশক্তি খুব প্রখর হয় ও বিভিন্ন বিদেশী ভাষা শেখারা প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখা যায়।
(৪) যাদের নাক আর উপরের ঠোঁটের ব্যবধান সাধারণের চেয়ে বেশি থাকে, তারা খুব উঁচু ধরনের রসিক হয়। এরা সেন্স অফ হিউমার নিয়েই জন্মায়। নামকরা কমেডিয়ানদের ঠোঁট ও নাকের ব্যবধান এই রকমই হয়ে থাকে।
(৫) যাদের দুই ভ্রূ ও চোখের ব্যবধান যত বেশি হবে, তারা তত শত্র্রুভাবাপন্ন মানুষ হবেন। দুই ভ্রূর মাঝের ব্যবধান যত কম হবে, সে তত ব্যবহারে বন্ধুভাবাপন্ন হবে। এরা নিজে থেকে এগিয়ে এসে বন্ধুত্ব করে।
(৬) যাদের মুখ লম্বার চেয়ে চওড়া বেশি তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি থাকে। কিন্তু এরা খুব একটা ডিটেলসে যেতে চায় না। আর যাদের মুখ চওড়ার চেয়ে লন্বা বেশি হয়, তারা খুব বিশ্লেষণ পরায়ণ হয়ে থাকে, খুঁতখুঁতে ও সচেতন হয়ে থাকে। ফলে এদের আত্মবিশ্বাস চওড়া মুখের চেয়ে কম থাকে।
(৭) যাদের বড় চোখ, তারা খুব ইমোশনাল ও স্পর্শকাতর প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা সব সময়ে সাধারণের সামনে আসার চেষ্টা করে থাকে এবং অপরের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে থাকে। এদের নিয়ে সব থেকে বড় যে সমস্যা হয় যে, এরা অন্যের মনোভাব বোঝার চেষ্টা একদমই করে না। এরা কোনও কথায় তৎক্ষণাৎ রিঅ্যাক্ট করে থাকে।
(৮) যাদের দুই ভ্রূর ব্যবধান কম, তাদের ধৈর্য্যের মাত্রা বেশ কম। আর যাদের দুই ভ্রূর মধ্যে ব্যবধান সাধারণের চেয়ে বেশি, তাদের ধৈর্য্যের মাত্রা বেশি হয়।
(৯) যাদের ভ্রূ যত মোটা, তারা তত ডমিনেটিং মেন্টেলিটির হয়ে থাকে। আর যাদের ভ্রূর লোম কম বা তত মোটা নয় তারা অপরকে সে ভাবে ডমিনেট করতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy