মানুষ সব সময়েই নিজের জীবনকে সুখকর করার জন্য কোনও কাজ শুরুর আগে কোনও শুভ সময় নির্বাচন করে, যাতে সেই কাজটি চলাকালীন কোনও অশুভ প্রভাব না পড়ে। জীবনে উন্নতির পথে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই মানুষটি সম্মানও প্রাপ্ত হতে পারেন। কাজ শুরু করবার এই বিশেষ মুহূর্তটিকে বলা হয় শুভ মুহূর্ত। শুভ মুহূর্ত চয়নের সময় আমরা পাঁজি, তিথি, বার, নক্ষত্র, বর্ণ ও যোগের সাহায্য নিই এবং ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মুহূর্ত চয়ন করে থাকি। যার ফলস্বরূপ আমরা সেই কাজটিতে কাঙ্খিত ফললাভ করে থাকি।
এখন দেখে নেওয়া যাক শুভ মুহূর্ত নির্বচনের সময় কী কী বিষয়ের ওপর দৃষ্টি দেওয়া আবশ্যক—
১। যে ঘড়ি দেখে সময় নির্বাচন করা হবে, সেটি যেন সঠিক সময় দেয়, নির্বাচিত মুহূর্ত যেন এ দিক ও দিক না হয়।
২। যে স্থানের জন্য শুভ মুহূর্ত নির্বাচন করা হবে, সেই স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের গণনা করা উচিত।
৩। সেই মুহূর্তে লগ্ন ও চন্দ্র বক্রী গ্রহের নক্ষত্র বা নক্ষত্রাংশের ওপর সঞ্চরণ করলে সেই মুহূর্তকে চয়ন করা উচিত নয়। শনি-চন্দ্রের যুতিও না থাকা উচিত, নতুবা কাজে বাধা আসবে বা কাজ সঠিক অর্থে সফল হবে না।
৪। সূচক গ্রহের ওপর অন্য কোনও গ্রহের কোণীয় দৃষ্টি থাকা উচিত নয়।
৫। কার্য শুভ মুহূর্তেই সম্পন্ন করা উচিত, সেই সময় প্রধান অতিথি বা গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত হতে না পারলেও সেই শুভ মুহূর্তকে গত হতে দেওয়া উচিত নয়।
মনে রাখবেন এই বিশেষ মুহূর্তটি আপনার জন্য শুভ, কিন্তু সেই প্রধান অতিথির জন্য শুভ নয় যে কারণে সেই শুভ মুহূর্তে তিনি উপস্থিত হয়ে সম্মানিত হতে পারলেন না।