প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব ব্যক্তিত্ব রয়েছে। তবে সময় নিয়ে দেখলে বুঝবেন কিছু মানুষের সঙ্গে কিছু মানুষের বেশ কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এর নেপথ্যে থাকে তাঁদের রাশি বা জন্মসংখ্যা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, প্রত্যেকটি রাশিরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। সেই অনুযায়ী বিচার করলে নির্দিষ্ট রাশির ব্যক্তিদের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
জ্যোতিষশাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সংখ্যাতত্ত্বের সাহায্যে আমাদের জন্মসংখ্যার বিচার করা যায়। জন্মসংখ্যা অনুযায়ীও পৃথক মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য দেখতে পাওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রেও একই জন্মসংখ্যার ব্যক্তিদের মধ্যে সাদৃশ্য বর্তমান। জন্মতারিখের বিচার করে কোন মানুষের ভাগ্যে কী রয়েছে সেই বিষয়েও একটা ধারণা দেওয়া সম্ভব। সংখ্যাতত্ত্ব মতে, তিন জন্মসংখ্যার জাতিকাদের প্রেমে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। নিখাদ ভালবাসা দিয়েও পরিবর্তে এঁরা মনের মতো সুখ পান না। এঁদের প্রেমজীবন সুখকর হয় না। তালিকায় কোন তিন জন্মসংখ্যা রয়েছে জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
কোন তিন জন্মসংখ্যার জাতিকারা ভালবেসে প্রতারিত হন?
৪: যে সকল জাতিকাদের জন্মসংখ্যা ৪, তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে সুখ পান না। এঁরা অত্যন্ত সহজ-সরল প্রকৃতির হন। সত্যি যতই কঠিন হোক, সেটা মুখের উপর বলে দিতে পছন্দ করেন। এঁদের মনে কোনও জটিলতা নেই। যদিও ৪ জন্মসংখ্যার জাতিকারা মানুষ চিনতে পারেন না। এঁরা সর্বদা ভুল মানুষকে মন দিয়ে ঠকেন। তা-ও এঁদের শিক্ষা হয় না। ঘুরেফিরে এঁরা ভুল মানুষকেই বিশ্বাস করে বসেন।
আরও পড়ুন:
৭: ৭ জন্মসংখ্যার মহিলারা রহস্যময়ী হন। এঁরা যে কোনও বিষয় নিয়ে গভীরে গিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন। কোনও মানুষ যদি এঁদের সঙ্গে কোনও ভুলও করেন, তা-ও এই সকল মেয়েরা বিপরীতের মানুষটি সেটা কেন করল তা নিয়েই ভাবেন। আর তাঁদের এই অপরের প্রতি সহমর্মিতাই নিজের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়ায়। নিঃস্বার্থ ভালবাসা খুঁজতে গিয়ে এঁরা ভুল মানুষকে মন দেন। শেষে গিয়ে কষ্ট পেলেও এঁরা মানুষটিকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারেন না।
৮: ৮ জন্মসংখ্যার জাতিকারা খুবই বিশ্বস্ত প্রকৃতির হন। এক বার যাঁকে ভালবাসেন, তাঁর জন্য যা কিছু করতে পারেন। ভালবাসার মানুষের জন্য এঁরা যা কিছু করতে পারেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় এঁরা এত ভালবাসা দেওয়ার পরও বদলে কষ্টই পান। সত্যিকারের ভালবাসা খুঁজে পেতে এঁদের অনেক সময় লাগে। তাই এঁদের বিয়েও দেরিতে হতে দেখা যায়।